নাকের নিচে ছোট গোঁফ, মাথায় টুপি, হাতে ছড়ি, ঢোলা প্যান্ট, বিশাল জুতা পরা এমন ভবঘুরে কারো কথা বলা হলেই বিশ্ববাসী এক মুহুর্তেই জেনে কার কথা বলা হচ্ছে l হ্যা, ঠিক ধরেছেন বলা হচ্ছে চার্লি চাপলিনের কথা। চ্যাপলিনের ছবি দেখতে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত প্রবল এক হাসি হাসতে হাসতে হঠাৎ টের পেয়েছি, বেদনায় ভারী হয়ে আসছে বুক; অপ্রস্তুত হয়ে আবিষ্কার করেছি চোখ ভিজে গেছে কখন। হাসি আর অশ্রুর মতো মানুষের মৌলিক দুটি প্রবৃত্তিকে সমান্তরালে উসকে দিয়ে আনন্দ-বেদনার নাগরদোলায় চড়িয়ে তাঁর চলচ্চিত্রগুলো জীবন, রাজনীতি, মানব সম্পর্কের আশ্চর্য জঙ্গমতায় ঠেলে দিয়েছে। আবিষ্কার করেছি, ওই ভবঘুরের পোশাকের ভেতর আসলে ঢুকে আছেন এক অনন্যসাধারণ শিল্পী। চলুন তার সমন্ধে টুকরো টুকরো কিছু অজানা তথ্য জেনে নেই l
চার্লি চ্যাপলিনই প্রথম অভিনয়শিল্পী, যিনি টাইম সাময়িকীর প্রচ্ছদে জায়গা পেয়েছিলেন।
তাঁর বিখ্যাত চরিত্র ‘দি ট্র্যাম্প’কে ২৬ বছরে মোট ৭০টি ছবিতে দেখা গেছে। ২০১৪ সাল ট্র্যাম্পের ১০০ বছর পূর্তির বছর।
ছোটবেলায় একবার চ্যাপলিনের খুব অসুখ করেছিল। বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তি তাঁর ছিল না। তখন চ্যাপলিনের মা তাঁকে অভিনয় করে দেখাতেন, বাইরে কী কী ঘটছে। চার্লি চ্যাপলিনের ভাষ্য মতে, তাঁর কমেডি অভিনেতা হয়ে ওঠার পেছনে এই ঘটনার বড় অবদান আছে।
এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির করা সর্বকালের সেরা তারকার তালিকায় তিনি নবম স্থানে আছেন।
চ্যাপলিনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ক্রিস্টোফার চ্যাপলিন যখন জন্ম নেয়, তখন তাঁর বয়স ছিল ৭৩ বছর।
চ্যাপলিন প্রায় ৫০০ গানের কম্পোজার।
চ্যাপলিন অস্কার জিতেছিলেন অভিনেতা নয়, বরং কম্পোজার হিসেবে।
সূত্র: আইএমডিবি ফ্যাক্টস