গেইল ঝড়
এই পর্যন্ত দুই দল ১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ১৮ বার এবং বাংলাদেশ জয় পায় শুধু ১ বার কোন ম্যাচ ড্র অথবা পরিত্যক্ত হয় নি। আর বাংলাদেশের এই ১ বার জয় আসে ২০০৫ সালে ট্রাই নেশন সিরিজে। সে সিরিজে আশরাফুলের সেঞ্চুরির উপর ভর করে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারায়। আর এইটাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র জয়।
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ইনিংসে সর্বচ্চ রান করেছে ২৯৫ রান ৬ উইকেটে এবং এক ইনিংসে সর্বনিম্ন রান রয়েছে ৭৪ রান। বাংলাদেশের পক্ষে হাবিবুল বাশার ১১ ম্যাচ খেলে ২৮৯ রান করে। এক ইনিংসে সর্বচ্চ রান করে মোহাম্মদ আশরাফুল ১০০(১০১)। বাংলাদেশের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেরা বোলিং ফিগার হল বাহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের ৩/৩৬।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এক ইনিংসের সর্বচ্চ রান ৩৬১/৮ এবং সর্বনিম্ন রান হল ১৯৮/৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এডাম গিলক্রিস্ট ১১ ম্যাচ খেলে করে ৪৪৪ রান করেন। এক ইনিংসে সর্বচ্চ রান করেন শেন ওয়াটসন ১৮৫*(৯৬)। এক ইনিংসের সেরা বোলিং ফিগার হল এন্ড্রু সাইমন্সের ৫/১৮।
কোন পরিসংখ্যানই বাংলাদেশের পক্ষে নেই তবুও পরিসংখ্যান যাই হক আগামীকালের ম্যাচে বাংলাদেশ চাইবে ভাল খেলে জয় ছিনিয়ে আনতে। সেজন্য বাংলাদেশকে সব বিভাগেই জ্বলে উঠতে হবে।
সেরা *গোলরক্ষক*..................
সপ্তম স্বর্গ আর মর্ত্যে নরক
মিরোস্লাভ ক্লোসা!জন্ম ১৯৭৮ এ পোল্যান্ডে। ৮ বছর
বয়সে তার পরিবারের সাথে পোল্যান্ডের কমুনিস্ট শাষন
থেকে পালিয়ে জার্মানীতে আসার সময় সে মাত্র দুটো জার্মান শব্দ
জানতো, ‘হ্যাঁ’ এবং ‘ধন্যবাদ’। শরনার্থী ক্যাম্পে জার্মান জীবন
শুরু করা ক্লোসাকে ফুটবল সুযোগ করে দিয়েছে মূল জার্মানদের
সাথে মিশে যেতে, তাকে আলাদা পরিচয় দিতে। ক্লোসা সবসময়ই
পরিচিত ছিলেন একজন ভদ্র, নম্র পুরোপুরি পেশাদারী একজন
খেলোয়াড় এবং মানুষ হিসেবে। মাঠের ভিতরে বা বাইরে কখনোই
কোন ধরনের বিতর্ক সে জন্ম দেয়নি বরং মাঠে তার ফেয়ার
প্লে সবসময়ই তাকে প্রসংশিত করেছে। যার সবচেয়ে বড় উধাহরন
হলো ওয়ার্ডার ব্রেমনের হয়ে খেলার সময় রেফারি তার
পক্ষে পেনাল্টি দিলে সে রেফরিকে বলে সেটা পেনাল্টি ছিল না।
২০১২ সালে ল্যাজিওর হয়ে খেলার সময় তার হাতে লেগে গোল
হবার পর সে রেফারিকে জানায় গোল বাতিল করে হ্যান্ডবল দেবার
জন্য।
পোলান্ড থেকে পালিয়ে আসা সেই বালক ক্লোসা এখন জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ গোল এবং বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৬ গোলের মালিক।
তার দুর্ভাগ্য তিনি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেন না।এই রেকর্ড ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কেউ করলে যত মাতামাতি হত,তার শিকি পরিমাণও হয়নি তাকে নিয়।
তাই হয়ত ইতিহাসের সেরাদের তালিকায় সে কখনোই গন্য হবে না এটা যেমন সত্য তেমনি ভাবে এটাও সত্য
যে কিছু মানুষ একজন ভদ্র, পরিচ্ছন্ন ভাবে ফুটবল
খেলে যাওয়া এবং দেশকে সবসময় সর্বোচ্চ সার্ভিস
দিয়ে যাওয়া ফুটবলার হিসেবে তাকে সমসময় মনে রাখবে।
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।