শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা ভগবতী দেবী। ঈশ্বরচন্দ্র ছেলেবেলায় পিতামহ রামজয় তর্কভূষণের উৎসাহে প্রচলিত বাংলা শিক্ষায় শিক্ষাগ্রহণ করেন। পরে তারই উৎসাহে কলকাতায় উচ্চশিক্ষার জন্য চলে আসেন। কলকাতায় তিনি সংস্কৃত কলেজে ব্যাকরণ বিষয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মাসিক বৃত্তির জন্য মনোনীত হন এবং ‘বহিস্থ শিক্ষার্থী’ হিসেবে বইসহ আর্থিক সম্মানী লাভ করেন। সংস্কৃত কলেজে তিনি একাধারে প্রায় তেরো বছর অধ্যায়নকালে ব্যাকরণ, অলংকার, বেদান্ত, ন্যায়শাস্ত্র, তর্কশাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান, হিন্দু আইন, সংস্কৃত এবং ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন।
বীরসিংহের সিংহপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাঙালি জাতির ইতিহাসে বাংলা
গদ্যরীতি, সামাজিক কুসংস্কার প্রভৃতি বিষয়ের সংস্কারক হিসেবে সুপরিচিত। সে
সময় ভারত তথা বঙ্গীয় অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের উপর আঁকড়ে বসা
সামাজিক কুসংস্কারসমূহ দূরীকরণে দৃঢ়চেতা মনোভাবই তাকে ‘সিংহপুরুষ’ হিসেবে
চিহ্নিত করে। তিনি তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় হিন্দু নারীদের জন্য বিধবা বিবাহ
আইন প্রবর্তন, বহু বিবাহ প্রথা রদকরণে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন। সমকালীন
বাঙালি পণ্ডিতবর্গের সমালোচনা সত্ত্বেও স্বীয় অভিমত এবং চেতনা থেকে পিছপা
হননি। এক কথায় নারী মুক্তির আন্দোলনে তথা নারীর প্রতি সামাজিক অবিচারের
বিরুদ্ধে ঊনবিংশ শতাব্দীতে সোচ্চার ছিলেন বিদ্যাসাগর। তার সঙ্গে সে সময়ে
পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত আরও কয়েকজন বাঙালি মনীষীর একান্ত প্রয়াসে সমাজ
ব্যবস্থায় হিন্দু নারীর প্রতি বেশ কিছু সামাজিক কুসংস্কার লুপ্ত হয়েছিল।
তার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পড়ুন - http://www.risingbd.com/%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7-%E0%A6%88%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0/117716
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।