সেহেরি খেয়ে অভ্যেশবশত যখন নিদ্রায় ডুব দেয়ার কথা তখন নিদ্রাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মন চলে গেল স্মৃতি রোমন্থনে, স্পষ্ট মনে আছে, এখন ও রেল ষ্টেশনে পা রাখলে রেলিং এর কোন জায়গায় বসেছিলাম, আশা করি ঠিক বলতে পারবো। কেন সেদিন ফোন করেছিলে, আমি ও সাক্ষাতে সম্মত হলাম কারণ খুঁজে হয়তো বলতে পারবোনা, তবে একটা দিক ভালোই হয়েছিল, নিজের অবস্থান তোমাকে পরিষ্কার করেছিলাম প্রথম দিনই। সে থেকে শুরু বন্ধুত্বের পথচলা। সেদিনের পূর্বের এবং পরের সম্পর্কে যোগ হলো নতুন মাত্রা। চেনা-জানার পর্বটা খুব তাড়াতাড়িই শেষ হলো। এত দ্রুত সময়ে দুজনের কাছাকাছি আসাটা, একে অপরকে জানাটা খুব কমই হয়।
সময়ের স্রোতে তাল মিলিয়ে একদিন যোগাযোগের পথ ও বন্ধ হয়ে গেল। কারণ জানতে পারলাম তিন তিনটি মাস পর। অসুস্থতা, ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় বয়ে যাওয়া, এসব মিলিয়ে চোখ, মুখের একি হাল! সাধারণ একটি জামা গায়ে জড়িয়ে যখন আচমকা দেখা করতে এলে, আশ্চর্য্য হলে ও মনের দোটনা কেটে গেল এবং তোমার চেহারায় বুঝাতে সক্ষম হলো, কতটুকু উৎকণ্ঠায় ছিলে আমার দেখা পাওয়ার জন্য! আমি ও কিন্তু মর্যাদা রেখেছিলাম কাছের দুজন বান্ধবী প্রথম বারের মতো বাসায় এসেছিল, তোমার ফোন পেয়ে তাদের বসিয়ে রেখে তোমাকে সময় দেয়ার জন্য বের হয়ে এত বেশি সময় নিয়েছিলাম, তারা বাসা থেকে চলেই গেল!
কোন এক পড়ন্ত বিকেলে অঝোরে বৃষ্টিধারায় রিক্সায় বসে তোমার দুখগুলু যখন শুনছিলাম, বাতাসের তোড়ে বৃষ্টির ঝাপটা চোখে-মুখে লেগে যখন জিহ্বায় লাগে নোনতা স্বাদ, তখন বুঝতে পারি চোখের লোনা জল আর বৃষ্টির পানি এক হয়ে একাকার! তোমার কি মনে পরে?
চাকুরী সুত্রে তুমি দূরে চলে গেলে একদিন, তা ও নিয়ম করে যোগাযোগটা আগের চেয়ে ও বেশি ছিল। কিন্তু কি হলো আবার তোমার হারিয়ে যাওয়া! এবার আর কোন কারণ খুঁজে পায়নি! আমি তোমাকে আমার সীমাবদ্ধতা জানিয়েছি, তুমি ও সেটা মেনে নিয়েছিলে, তাছাড়া তোমার দেখা স্বপ্নে, নিজের কথা বলে আচড় লাগাতে দেইনি, বরং দোটনায় পরবে ভেবে ভালোবাসার অরাধ্য সুপ্তবাসনা প্রকাশ করিনি।
লতা তুমি কেমন আছো? শুনেছি বিয়ে করেছো, বাচ্চা ও আছে! কোন একদিন ফোন করবে ভেবে, সময়ে-অসময়ে মোবাইল নাম্বার এখন ও বন্ধ রাখতে দ্বিধা করি! নিজের একান্ত সময়ে অজানা নাম্বার থেকে ফোন আসলে প্রথমেই মনে হয় এই বুঝি তুমিই ফোন করলে!!!!!!!!!!
ছেলেবেলার দুষ্টামি
শুভ্র মেঘ হয়ে আকাশে থাকো। কোটি ভক্তের মাঝে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ো যেখানে থাকো ভালো থাকো।
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।