সরকারী বিজ্ঞান কলেজ সেখানেও ভর্তির মিনিমাম যোগ্যতা ৫ ।অন্য বেসরকারি ভাল কলেজ এর কথা নাই বা বললাম । ভর্তি পরিক্ষা বা মেধা যাচাই এর অন্য সুযোগ নেই এখানে ।নাম্বার যার যত বেশি সে তত ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারছে ।মেডিকেল ,পাবলিক ভার্সিটি সব জায়গায় ৫ এর কদর । সো কি ছাত্র ,কি অভিভাবক সবাই ছুটছে যেমন করে হোক জিপিএ ৫ একটা চাই চাই ।না হলে সমাজে মুখ দেখানো যাবে না ।
এইচ এসসি পাশের পর আর্মি অফিসার হবে সেখানেও জিপিএ ৫ লাগবে ।
তাই জিপিএ ৫ এর গুরুত্ব না কমালে এই ব্যাধি থেকে মুক্তি আসবে না ।যদি না প্রশ্ন ফাঁস আর নকল ঠেকানোর কোনও উপায় খুঁজে না পাওয়া যায় ।
নিজে করুন যা আপনার শিশুকে শেখাতে চান
শিক্ষাতো এমনি হতে হবে.............
আমরা তিন ভাই। সব চেয়ে ছোটজন আকাইদকে এবছর মডেল স্কুল বাসাবো শাখায় ভর্তি করাই। সে এই প্রথম জেনারেল লাইনে আসলো, এর আগে মাদ্রাসায় ছিলো। স্কুলে পড়াশোনা তার কাছে একদমই নতুন। বাসায় আম্মু অসুস্থ, আব্বু সারাদিন অফিসে। আমরা দুই ভাইয়ের একজন রাজশাহী ও আরেকজন খুলনাতে। তাই তাকে কাছেই "কেয়ার" নামক একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত স্কুল, বিকাল থেকে রাত ৯পর্যন্ত কোচিং, সব সাব্জেক্ট। আব্বু আম্মুতো নিশ্চিন্ত। গত সপ্তাহে বাসায় গিয়ে আকাইদের পড়াশুনার খবর নিয়ে চমকে উঠি। অবস্থা ভয়াবহ।
.
সে ইংলিশ গ্রামারে সবচেয়ে দুর্বল। বসলাম সেটা নিয়ে। একদম গোড়া থেকে শুরু করতে যাবো, বলে- ভাইয়া এই Fill in the blanks with verbs গুলো করে দাও। পরদিন পরীক্ষা। কোচিং থেকে একটা নির্দিষ্ট বই দিয়ে দিয়েছে, সেটার নির্দিষ্ট কিছু এক্সারসাইজ মুখস্ত করে গেলেই কমন! গ্রামার শিখার কি দরকার! কি ভয়ংকর!
.
তারপর খোঁজ নিয়ে দেখি বাকি সাবজেক্টেরও এমনই অবস্থা! বর্তমানে সৃজনশীল পদ্ধতি চলছে- এটার উদ্দেশ্য ছিলো- ছাত্র ছাত্রীরা মেইন বইটা বুঝে পড়বে- সেখান থেকে ক্রিয়েটিভ প্রশ্ন করা হবে- তারা যা বুঝেছে তা থেকে বানিয়ে আন্সার করবে। আর এই কোচিং গুলো কি করছে জানেন? ছাত্র ছাত্রীদের নিন্মমানের একটা গাইড কিনতে বাধ্য করছে। তারপর সেখানে করে দেওয়া সৃজনশীল গুলো মুখস্ত করতে দিচ্ছে, সেখান থেকেই তারা প্রশ্ন দিচ্ছে পরীক্ষায়! মেইন টেক্সট বুক পড়ার বা বোঝার কোন পাত্তাই নাই! এইসব গাইড বই থেকে খাবলিয়ে খাবলিয়ে অন্ধের মত প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করে কোচিং-স্কুলের পরীক্ষায় নাম্বার পাওয়া সম্ভব কিন্তু কোন টপিকের উপর স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া একেবারেই অসম্ভব! এবং অনেক স্কুলেও নির্দিষ্ট গাইড কে কেন্দ্র করেই পড়াশুনা, পরীক্ষা হয়। স্কুল-কোচিং-গাইড কোম্পানি লালে লাল... পোলাপানের ব্রেইন শুকনা খাল!
.
তো কি হলো ব্যাপারটা? আমাদের সময় আমরা তো তবুও মেইন বই পুরাটা পড়তাম, সেটার ভেতর থেকে প্রশ্ন আসতো, তাও কিছু শেখা হতো। আর এখন যদি ঢাকার একদম কেন্দ্রস্থলে, বাসাবো মডেল-মুগদা আইডিয়ালের ছেলেমেয়েরা যে কোচিং এ পড়ে সেখানে যদি এরকম গাইড বাণিজ্য হয় তাহলে সারা দেশে পড়াশোনার নামে কি হচ্ছে তা বুঝাই যাচ্ছে। নিন্ম মানের গাইড কোম্পানির সাথে চুক্তি করে সেগুলো পড়তে বাধ্য করা, কোন কিছু না শিখতে শিখতে পড়ে বোর্ড পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন পেয়ে এবং মুক্তহস্তে অঢেলে দান করা নাম্বারের বদৌলতে এপ্লাসের বন্যায় ভেসে যাওয়া এই নতুন ব্যাচ গুলো কেন ভর্তি পরীক্ষায় গিয়ে খাবি খায় সেটা কি এখনও আশ্চর্য লাগে কারো কাছে?
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।