@foodlover
ফারসি শব্দ শিরমাল। ‘শির’ অর্থ দুধ এবং ‘মাল’ অর্থ মালিশ করা বা দলা। একসময়ের জনপ্রিয় রুটি শিরমাল এখন প্রায় বিলুপ্ত। কালেভদ্রে এর দেখা মেলে। শবেবরাত বা বিশেষ কোনো উপলক্ষে এখনও পুরান ঢাকায় তৈরি হয় এই রুটি। এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে ঐতিহ্যবাহী আনন্দ বেকারি। এখন ঢাকায় এতরকম শিরমাল পাওয়া না গেলেও আনন্দ বেকারি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারণেই এখনও উৎসবে পার্বণে শিরমাল রুটির দেখা মেলে।
ইতিহাসবিদদের মতে- শিরমাল রুটি ঢাকায় আসে মুঘল আমলে। ঢাকায় মুঘল সুবেদাররার শিরমাল নিয়ে আসে। অভিজাত পরিবারে জিয়াফতে বাড়িতে তন্দুর বসিয়ে অভিজ্ঞ বাবুর্চি দিয়ে শিরমাল তৈরি করা হতো। সে সময় শিরমাল সুজি দিয়ে তৈরি হতো। কখনো কখনো রুটির ময়দাও দেয়া হতো। আসল শিরমালে ব্যবহার করা হতো মাওয়া, ঘি ও দুধ । এতে পানির ব্যবহার ছিল না। প্রথমে ময়দার সাথে মাওয়া মেশানো হতো। কিছুক্ষণ পর ঘি আর বাকি ময়দা দিয়ে দুধ মিশিয়ে দলা হতো।
কয়েকঘণ্টা ভেজা চাদরের নিচে রাখার পর রুটি বানিয়ে তারপর তন্দুরে সেকা হতো। সেকাকালীন একটু পর পর দেয়া হতো দুধের ছিটা। এতে রুটিতে লালচে ভাব হতো, বাড়ত ঘ্রাণ। শিরমাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় তৈরি হতো এবং রাতের খাবারে দুধ বা কোরমা দিয়ে খাওয়া হতো। ভোরে শিরমালের খামির দিয়ে যে রুটি তির হতো তাকে বলা হতো গাওদিদাহ।
ভারতের লখনউ থেকে আসা হালুইকররা সবচেয়ে ভালো শিরমাল তৈরি করতো। তখন শিরমাল ছিল কয়েক রকম। তন্দুরে থাকা অবস্থায় দুধ ছিটিয়ে যে রুটি তৈরি করা হতো তা ছিল রওগনি শিরমাল নামে পরিচিত। ঢাকার অদূরে মিরপুরের বাথান থেকে ভালো দুধ আসতো, এটি দিয়েই তৈরি হতো শিরমাল। ঘি ছাড়া রোগীর জন্য তৈরি হতো ডিম্বাকৃতির আরেক রকম শিরমাল। এর নাম ছিল গাওযবান। শিরমাল ঢাকায় ‘সুখি’ ও ‘নিমসুখি’ নামেও পরিচিত ছিল।
সূত্র: ঢাকাই খাবার
হোম ডেলিভারি দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোও অল্পমূল্যে বাসায় ও অফিসে ইফতার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আসছে রোজা আর এই রোজায় এবারও এরকম একটি প্রতিষ্ঠান আছে আপনাদের সাথে। আর এই সাথে থাকা মানে স্পেশাল ইফতারি আপনার অফিসে কিংবা বাসায় পৌছে যাবে ঠিক সময়মতো। ইজি কিচেন এবারের রমজানে মাত্র ৪০ টাকায় ইফতারি অফিস ও বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এ জন্য অবশ্য আগেই বুকিং করতে হবে। 01864222860 অথবা 01614222860 এই নম্বরে ফোন করে অর্ডার করা যাবে। এ ছাড়াও আপনাদের সুবিধার জন্য ইজি কিচেন আপনাদের জন্য প্রতিসপ্তাহে পরিবর্তন করে তাদের মেনু।
এ ছাড়া প্রতিদিন মাত্র ৮০ টাকায় আপনারা পাচ্ছেন ভাত+মাছ অথবা মাংস (সপ্তাহে দুই দিন গরুর মাংস এবং একদিন দেশি মুরগির মাংস)+একটি ভর্তা+ভাজি অথবা সবজি+ডাল+চাটনি+ডেজার্ট। শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ৬ দিনই 'ইজি কিচেন' প্রাথমিকভাবে রাজধানীর গুলশান-বনানী-তেজগাঁও এবং বসুন্ধরায় এ রকম খাবার সরবরাহ করছে। যেকোনো দিন সকাল ১১টার মধ্যে 01864222860 অথবা 01614222860 নম্বরে ফোন করে অর্ডার করতে হবে। পৌঁছে যাবে খাবার নির্দিষ্ট ঠিকানায়। অথবা ফেসবুকেও যোগাযোগ করে অর্ডার করা যাবে।
ফেসবুকে যোগাযোগ
ইফতারির ৪০ টাকার এই প্যাকেজে যা যা থাকছে
শনিবার : পিঁয়াজু ২ পিস+ আলুর চপ ২ পিস+ বেগুনি ১ পিস+ খেজুর ২ পিস+ জিলাপি ১ পিস (বড়)+ মুড়ি ৫০ গ্রাম+ ছোলা ১০০ গ্রাম+ কলা ১ পিস।
রবিবার : পিঁয়াজু ২ পিস+ স্যান্ড্যুইচ ১ পিস+ খেজুর ২ পিস+ মুড়ি ৫০ গ্রাম+ ছোলা ১০০ গ্রাম+ আপেল (হাফ)+ জিলাপি ১ পিস (বড়)।
সোমবার : পিঁয়াজু ২ পিস+ আলুর চপ ১ পিস+ ডিম চপ ১ পিস+ বেগুনি ১ পিস+ মুড়ি ৫০ গ্রাম+ ছোলা ৫০ গ্রাম+ বুন্দিয়া ৫০+ মালটা (হাফ)।
মঙ্গলবার : পিঁয়াজু ২ পিস+ আলুর চপ ২ পিস+ বেগুনি ১ পিস+ জালি কাবাব ১ পিস+ মুড়ি ৫০ গ্রাম+ ছোলা ১০০ গ্রাম+ বুন্দিয়া ১০০ গ্রাম+ খেজুর ২ পিস+ কলা ১ পিস।
বুধবার : পিঁয়াজু ২ পিস+ বেগুনি ১ পিস+ আলুর চপ ১ পিস+ টিকিয়া ১ পিস+ মুড়ি ৫০ গ্রাম+ ছোলা ১০০ গ্রাম+ খেজুর ২ পিস+ জিলাপি ১ পিস+ আপেল (হাফ)।
বৃহস্পতিবার : পিঁয়াজু ২ পিস+ আলুর চপ ১ পিস+ ভেজিটেবল চিকেন রোল ১ পিস+ মুড়ি ৫০ গ্রাম+ ছোলা ১০০ গ্রাম+ বুন্দিয়া ১০০ গ্রাম+ কমলা ১ পিস।
শুক্রবার : পিঁয়াজু ২ পিস+ বেগুনি ১ পিস+ আলুর চপ ১ পিস+ সবজি বড়া ২ পিস+ মুড়ি ৫০ গ্রাম+ ছোলা ১০০ গ্রাম+ রেশমি জিলাপি ২ পিস+ খেজুর ২ পিস+ কলা ১ পিস।
ফারসি শব্দ শিরমাল। ‘শির’ অর্থ দুধ এবং ‘মাল’ অর্থ মালিশ করা বা দলা। একসময়ের জনপ্রিয় রুটি শিরমাল এখন প্রায় বিলুপ্ত। কালেভদ্রে এর দেখা মেলে। শবেবরাত বা বিশেষ কোনো উপলক্ষে এখনও পুরান ঢাকায় তৈরি হয় এই রুটি। এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে ঐতিহ্যবাহী আনন্দ বেকারি। এখন ঢাকায় এতরকম শিরমাল পাওয়া না গেলেও আনন্দ বেকারি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারণেই এখনও উৎসবে পার্বণে শিরমাল রুটির দেখা মেলে।
ইতিহাসবিদদের মতে- শিরমাল রুটি ঢাকায় আসে মুঘল আমলে। ঢাকায় মুঘল সুবেদাররার শিরমাল নিয়ে আসে। অভিজাত পরিবারে জিয়াফতে বাড়িতে তন্দুর বসিয়ে অভিজ্ঞ বাবুর্চি দিয়ে শিরমাল তৈরি করা হতো। সে সময় শিরমাল সুজি দিয়ে তৈরি হতো। কখনো কখনো রুটির ময়দাও দেয়া হতো। আসল শিরমালে ব্যবহার করা হতো মাওয়া, ঘি ও দুধ । এতে পানির ব্যবহার ছিল না। প্রথমে ময়দার সাথে মাওয়া মেশানো হতো। কিছুক্ষণ পর ঘি আর বাকি ময়দা দিয়ে দুধ মিশিয়ে দলা হতো।
কয়েকঘণ্টা ভেজা চাদরের নিচে রাখার পর রুটি বানিয়ে তারপর তন্দুরে সেকা হতো। সেকাকালীন একটু পর পর দেয়া হতো দুধের ছিটা। এতে রুটিতে লালচে ভাব হতো, বাড়ত ঘ্রাণ। শিরমাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় তৈরি হতো এবং রাতের খাবারে দুধ বা কোরমা দিয়ে খাওয়া হতো। ভোরে শিরমালের খামির দিয়ে যে রুটি তির হতো তাকে বলা হতো গাওদিদাহ।
ভারতের লখনউ থেকে আসা হালুইকররা সবচেয়ে ভালো শিরমাল তৈরি করতো। তখন শিরমাল ছিল কয়েক রকম। তন্দুরে থাকা অবস্থায় দুধ ছিটিয়ে যে রুটি তৈরি করা হতো তা ছিল রওগনি শিরমাল নামে পরিচিত। ঢাকার অদূরে মিরপুরের বাথান থেকে ভালো দুধ আসতো, এটি দিয়েই তৈরি হতো শিরমাল। ঘি ছাড়া রোগীর জন্য তৈরি হতো ডিম্বাকৃতির আরেক রকম শিরমাল। এর নাম ছিল গাওযবান। শিরমাল ঢাকায় ‘সুখি’ ও ‘নিমসুখি’ নামেও পরিচিত ছিল।
সূত্র: ঢাকাই খাবার
লালবাগের কেল্লায় যান আর না যান, রয়েল হোটেলে একবার হলেও আসুন। লালবাগ এলাকার ৪৪ হরনাথ ঘোষ রোডে অবস্থিত রয়েল হোটেলের কোথাও কোনো শাখা নেই। ১২ বছর ধরে তাঁরা ভোজনরসিকদের মনমতো খাবারের চাহিদা পূরণ করে চলেছেন। এখানে কোনো বাসি খাবার বিক্রি হয় না, এমন কি একবার তেল পুড়লে সেটা দ্বিতীয়বার ব্যবহার হয় না।
অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এখানে ঠান্ডা-জাতীয় খাবারের মধ্যে পাবেন লাবাং, বোরহানি, মালাই কুলফি, ফালুদা, লাচ্ছি, পাঞ্জাবি লাচ্ছি, দইবড়া এবং পেস্তাবাদামের শরবত। রয়েল হোটেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মালেকের মতে, তাঁদের পেস্তাবাদামের শরবতের জুড়ি মেলা ভার। এখানে এক লিটার পেস্তাবাদামের শরবতের দাম হলো ২২০ টাকা।
রয়েলের পেস্তা বাদাম শরবতের রেসিপি
উপকরণ: পেস্তাবাদাম পরিমাণমতো, মালাই পরিমাণমতো, দই পরিমাণমতো, খাঁটি জাফরান পরিমাণমতো, চিনি পরিমাণমতো, দুধ পরিমাণমতো।
প্রণালি: দই, মালাই, দুধ ও চিনি ঘুঁটনি দিয়ে ঘুঁটে গ্লাসে ঢেলে পেস্তাবাদাম ও জাফরান মিশিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। খাওয়ার ঠিক আধা ঘণ্টা আগে বের করে ফ্রিজের নরমালে রেখে দিন, তারপর পরিবেশন করুন। মনে রাখবেন, একবার এ শরবত তৈরি করলে তা ডিপ ফ্রিজে তিন দিন রেখে খাওয়া যাবে। আর একবার মুখ বা বোতলের ছিপি খুললে পুরো শরবত সে সময়ই খেয়ে ফেলতে হবে।
লালবাগের কেল্লায় যান আর না যান, রয়েল হোটেলে একবার হলেও আসুন। লালবাগ এলাকার ৪৪ হরনাথ ঘোষ রোডে অবস্থিত রয়েল হোটেলের কোথাও কোনো শাখা নেই। ১২ বছর ধরে তাঁরা ভোজনরসিকদের মনমতো খাবারের চাহিদা পূরণ করে চলেছেন। এখানে কোনো বাসি খাবার বিক্রি হয় না, এমন কি একবার তেল পুড়লে সেটা দ্বিতীয়বার ব্যবহার হয় না।
অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এখানে ঠান্ডা-জাতীয় খাবারের মধ্যে পাবেন লাবাং, বোরহানি, মালাই কুলফি, ফালুদা, লাচ্ছি, পাঞ্জাবি লাচ্ছি, দইবড়া এবং পেস্তাবাদামের শরবত। রয়েল হোটেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মালেকের মতে, তাঁদের পেস্তাবাদামের শরবতের জুড়ি মেলা ভার। এখানে এক লিটার পেস্তাবাদামের শরবতের দাম হলো ২২০ টাকা।
রয়েলের পেস্তা বাদাম শরবতের রেসিপি
উপকরণ: পেস্তাবাদাম পরিমাণমতো, মালাই পরিমাণমতো, দই পরিমাণমতো, খাঁটি জাফরান পরিমাণমতো, চিনি পরিমাণমতো, দুধ পরিমাণমতো।
প্রণালি: দই, মালাই, দুধ ও চিনি ঘুঁটনি দিয়ে ঘুঁটে গ্লাসে ঢেলে পেস্তাবাদাম ও জাফরান মিশিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। খাওয়ার ঠিক আধা ঘণ্টা আগে বের করে ফ্রিজের নরমালে রেখে দিন, তারপর পরিবেশন করুন। মনে রাখবেন, একবার এ শরবত তৈরি করলে তা ডিপ ফ্রিজে তিন দিন রেখে খাওয়া যাবে। আর একবার মুখ বা বোতলের ছিপি খুললে পুরো শরবত সে সময়ই খেয়ে ফেলতে হবে।
নূরানীর ঠান্ডা
বিয়ে-জন্মদিন ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় নানা অনুষ্ঠানেও তাদের ডাক পড়ে। দোকানের নাম নূরানী কোল্ডস ড্রিংকস হলেও সবাই এই দোকানকে নূরানী লাচ্ছি নামেই চেনে। এখানে পাওয়া যায় স্পেশাল লাচ্ছি, সাধারণ লাচ্ছি এবং লেবুর শরবত। নূরানীর লাচ্ছি পান করতে হলে আপনাকে যেতে হবে পুরান ঢাকার ১১৮ চকবাজারে।
লাচ্ছি রেসিপি
উপকরণ (আট গ্লাস লাচ্ছির জন্য)
মিষ্টি দই আধা কেজি, চিনির শিরা পরিমাণমতো, গোলাপজল পরিমাণমতো, জাফরান পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো, বরফের কুচি পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
খাঁটি দুধের হালকা মিষ্টি দই একটি মাঝারি সাইজের পিতলের পাত্রে নিন। তাতে চিনির শিরা, জাফরান, গোলাপজল ও পানি দিয়ে ভালো করে ঘুঁটনি দিয়ে নাড়ুন। তারপর আটটি গ্লাসে সেই মিশ্রণ ঢেলে পরিমাণমতো বরফের
পান্থপথের চৌরাস্তার একটু পাশেই বেশ কয়েক মাস ধরে চালু হয়েছে সামুদ্রিক খাবারের নতুন রেস্তোরাঁ ‘ক্লাউড বিস্ট্রো’
পান্থপথের চৌরাস্তার একটু পাশেই বেশ কয়েক মাস ধরে চালু হয়েছে সামুদ্রিক খাবারের নতুন রেস্তোরাঁ ‘ক্লাউড বিস্ট্রো’
পান্থপথের চৌরাস্তার একটু পাশেই বেশ কয়েক মাস ধরে চালু হয়েছে সামুদ্রিক খাবারের নতুন রেস্তোরাঁ ‘ক্লাউড বিস্ট্রো’
অথবা,
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।