@shahnaz1980
গ্রাম থেকে আনা খাটি দুধ দিয়ে হালকা মিষ্টি সাদা দই ! ক্যারামেল এবং ফুড কালার ছাড়া !
ফেসবুক ঘিরেই ছিল সব ফ্যাসিনেশন। কে আমার পোস্টে লাইক দিল ,কে কমেন্ট করল ,কোন ইস্যুতে গরম ফেসবুক। এড্রিনালিন রাশ হত কারণে অকারণে।
সেই সাথে বিষন্নতা ঘিরে ধরত। পাচ মিনিট মন ভাল থাকলে দশ মিনিট খারাপ থাকত। কারণ ছাড়াই মন খারাপ হত কারণ ছাড়াই ভাল হত। মন খারাপের কারণগুলো ভাবলে এখন নিজেরো হাসি পায়। সারারাত ফেসবুকের নিউজফিডে পরে থাকলে যা হয় আর কি।
হঠাত ধাক্কায় বুঝতে পারলাম। আশেপাশের জগত থেকে কিভাবে নিজেকে আইসোলেট করে ফেলেছি। সারারাত ফেসবুকিং করে সারাদিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যায় একগাদা খেয়ে আবার ফেসবুকে। নিজের কাছেই নিজেকে ঘৃণ্য লাগছিল।
নিজেকে সময় দিয়েছিলাম ৬ মাস। এই ছয় মাসে রাত জাগা ,ফেসবিকুং এডিকশন সব
কিছু থেকে বের হয়ে আসব। অনেক কষ্ট হলেও বের হয়ে আসতে পেরেছি। আজকাল তাই
ফেসবুকিং টাও ভাল লাগে। কারণ আগে আমি আমার রিয়েল লাইফটা ঠিক করতে পেরেছি।
আমার লাইফ ফেসবুকের লাইক শেয়ার কমেন্ট ফ্রেন্ডস ইস্যুরা আর কন্ট্রোল
করেনা। আমার ঘুম ,আমার মনের পাইলট আমিই।
.
বিষন্নতায় ভুগে তোমরা
যারা ফেসবুককে একমাত্র আশ্রয় ভেবে নাও। রাত জেগে ফেসবুকিং কর্। তোমরা
নিজেরাও জানোনা এটা তোমার বিষন্নতা কে জ্বালানি জোগাচ্ছে
.
রাত জেগে জেগে নিউজফিডে আলু,কলা ,পটল দেখলে লাইফে চিড়া ভিজবে না
এমন না যে সাফল্যটা আজকেই পেতে হবে। আর সাফল্য পেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। মোটেই না
.
একটা ভাল বই পড়
একটা ভাল মুভি দেখ
বাবা মায়েদের সাথে একটু গল্প করো
ভাই বোনরা মিলে কোথাও ঘুরতে যাও
সকালে ফজরের নামাজটা পড়ে একটু হেটে আস বাইরে থেকে
রাতটা ঘুমে তলিয়ে যাও
ভাল স্বপ্ন দেখার জন্য ভাল ঘুম জরুরী
মন খারাপ আবার কি রে পাগলা ,ইউ আর দা ক্যাপ্টেন অফ ইওর লাইফ I
By Warish Azad Nafi
স্কুল লাইফে একবার ঠিক করলাম নিজের টাকায় আব্বাকে স্যু কিনে দেব। ঘটনা
হল ক্রিকেট খেলতাম, কেডস লাগবে। বাটায় তখন পাওয়ারের এক জোড়া কেডস এসেছিল
দাম পনেরশ টাকা। আবদার করে বসলাম আব্বার কাছে
- আব্বা কেডস কিনে দাও।
আমার বাবার সেদিন কেডস কিনে দেবার সামর্থ্য ছিলনা। অনেক রাগারাগি করলাম। না খেয়ে থাকলাম। আম্মা এসে বলল
- তুই জানিস তোর আব্বা গত পাচ বছরে একই জুতা পরে চালিয়ে যাচ্ছে
.
প্রচন্ড ধাক্কা লাগল কথাটা শুনে। আব্বা পাচ বছর ধরে একই স্যু পরে অফিসে
যাওয়া আসা করছে। কালের বিবর্তনে যে জুতোর মিউজিয়ামে জায়গা হওয়ার কথা
চার কোণা জলছাপ কাগজের দৈন্যে সে জুতা লাইফ টাইম সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে
আব্বাকে।
.
আমি তখন ক্রিকেটের খেপ খেলতাম টুকটাক। ঠিক করলাম খেপ
খেলে টাকা জমিয়ে আব্বা কে স্যু কিনে দেব। এক খেপে তখন বেশী না ৫০ টাকা দিত
কোনটাতে খাওয়াত টাকা দিতনা। তো আমি প্রবল আগ্রহে আব্বাকে জুতা কিনে দিব
বলে স্কুল ফাকি দিয়ে খেপ খেলতে লাগলাম। বয়সে কম ছিলাম বলে নিতে চাইতোনা।
.
অনেক কষ্টে খেপ খেইলা জমালাম ৬০০ টাকা। মনে তখন আনন্দ। আব্বারে ঢাকায় ফোন দিয়া বললাম
- আপনি আগামী সপ্তাহে ফেনী আসেন দরকার আছে
.
বাবারে জুতা কিনে দিবে আজ তাই খেপ খেলে জমান ৬০০ টাকা নিয়ে গর্বিত ছেলে
গেল বাটার শো রুমে। জানতাম না কি অপেক্ষা করছে। ছয়শ টাকার মধ্যে জুতা
পাওয়া যাবে এক জোড়াই। এদিকে আমার আবার যেগুলা পছন্দ হইছে সেগুলার দাম
হাজারের উপরে। প্রচন্ড অক্ষমতায় আমি কাদতে লাগলাম। একবার মন চাইল শো রুমের
ম্যানেজার কে বলি
- আঙ্কেল বাকি দিবেন মাসে মাসে কিস্তিতে শোধ করে দিব।
.
সেদিন আব্বার জন্য নিজের টাকায় জুতো কেনার স্বপ্ন আমার পূরণ হয়নি। কঠিন
বাস্তবতা সেই স্কুল পড়ুয়া কিশোর কে শিখিয়ে দিয়েছিল , সাধ আর সাধ্যের
মধ্যে তফাত কতটুকু।
.
.
আপনজনের জন্য মন ভরে কিছু একটা করতে পারার অক্ষমতার কষ্ট সেবারই প্রথম পেয়েছিলাম
.
বাবার ধমকে দিন শুরু করা ছেলেটারও খুব ইচ্ছা করে নিজের টাকায় এক জোড়া
জুতো কিনে বাবার পায়ের কাছে বসে প্রাগৈতিহাসিক জুতোজোড়া খুলে নিজ হাতে
নতুন জোড়া পরিয়ে দিয়ে বলতে
- এইবার এই জোড়াকে মুক্তি দাও
.
টানাটানির সংসারে শহরে পড়তে আসা ছেলেটারও ইচ্ছা করে এবার ঈদে বাড়ি ফেরার
সময় মায়ের জন্য ভালো একটা দামী শাড়ি কিনে নিয়ে যেতে। কলিংবেল বাজানোর
পর মা দরজা খুলে দেখবে তার পাগল ছেলেটা শাড়ির জমিন খুলে হাসিমুখে বলছে
- জমিন টা আমার মায়ের সরল মুখটার মত
.
বোনের আবদার মেটাতে অক্ষম ভাইটারও ইচ্ছা করে এবারের ছুটিতে একটা
এন্ড্রোয়েড মোবাইল কিনে বোনের কলেজের ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখে সাথে একটা
চিরকুট লিখে দিতে
- এবার থেকে দেখব হোয়াটস এপে ভাইকে কত জ্বালাতে পারিস
.
মানিব্যাগের খুচরো টাকা দিয়ে কেনা রক্তগোলাপ ছাড়া প্রেমিকাকে আর কিছু
দিতে অক্ষম প্রেমিক ছেলেটারও ইচ্ছা করে এক গুচ্ছ চুড়ি না ,চকবাজার থেকে
হোলসেলে চুড়ির পুরো গাট্টিটা এনে সেটাকে প্রেমিকার সামনে রেখে কপালের ঘাম
মুছতে মুছতে বলতে,
- নে পাগলী। এবার দেখব কত চুড়ি পড়তে পারিস ,আর কত চুড়ি অভিমানে ভাংতে পারিস
.
এই অক্ষম মানুষগুলোর দেয়ার ক্ষমতা হয়ত নেই ,কিন্তু পৃথিবী জেনে রাখুক তাদের ভালোবাসায় এতটুকু খাদ নেই।
.
এ পৃথিবীতে নানান রঙ্গের কষ্ট আছে। কিন্তু আপন জন কে মন ভরে না দিতে পারার মত কষ্ট কিছুতে নেই|
Written by Warish Azad Nafi
"... প্রত্যেক স্বামী-স্ত্রীর অবশ্যই পাশাপাশি বসে এই মুভি দেখা উচিৎ। সংসার, দাম্পত্য শুধু যে অভ্যাসের ব্যাপার নয়, এই অভ্যাস, মমতা, নির্ভরতার পাশাপাশি প্রেমও আছে... আর সেই প্রেম যে এমনি এমনি হয় না, চর্চা করতে হয় সেটা শেখার ব্যাপার আছে। সবকিছু একপাশে সরিয়ে রেখে দুজনের আলাদা করে, একান্ত কিছু সময় কাটানোর প্রয়োজন আছে, সেটা শুধু শারীরিক নয়, একটু ভালোবাসার স্পর্শ বা দুজনের আগ্রহের বিষয় নিয়ে টুকটাক গল্প... এরও দরকার আছে। ভালোবাসি ভেবে নিজের ভেতর চেপে রাখলেই হয় না, সেটা প্রকাশেরও প্রয়োজন আছে। আর যারা এটা নিজেরা বোঝে না, তাদের জন্য এই মুভিটা দেখা খুব জরুরি।..."
বেলাশেষে (২০১৫) সিনেমাটি নিয়ে নিজস্ব কিছু ভাবনা লিখেছেন ইশরাত জাহান তিথি। লেখায় স্পয়লার আছে। তাই যারা চমক ভাঙতে চান না তারা মুভিটা দেখে এসে তারপর লেখাটা পড়ুন।
অভিনয়ে: সৌমিত্র চ্যাটার্জি, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত
বিবাহিত জীবনের ৪৯ বছর পরে, জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে বিশ্বনাথ মজুমদারের
হঠাৎ মনে হলো তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কে আসলে প্রেম বা ভালবাসা বলে কোনোকিছুর
অস্তিত্ব ছিল না। সবটাই অভ্যাস, আর দায়িত্ব। তিনি এ দায়িত্বের শেকল থেকে
মুক্তি চান, ৪৯ বছরের বিবাহিত জীবন থেকে মুক্তি চান, চান বিবাহবিচ্ছেদ!
সিনেমার শুরুটা এভাবেই।
তারপরে আসে বিভিন্ন সাংসারিক টানাপোড়েন, প্রেম
এবং অভ্যাসকে গুলিয়ে ফেলা, পরস্পরকে নতুন করে আবিস্কার করা, মমতা,
নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস... চমৎকার একটা মুভি! অনেকদিন পরে কিছু দেখতে বসে
বারবার চোখ ভিজে উঠছিল। আবেগাপ্লুত হয়ে যাচ্ছিলাম। কলকাতায় আজকাল এত চমৎকার
সব মুভি বানায়! আর অভিনয়... বিশেষ করে আরতি দেবীর ভূমিকায় স্বাতীলেখা
সেনগুপ্তর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হতেই হয়। এই বয়সে এত চমৎকার অভিনয় করেছেন, মনে
হয়েছে তাঁর প্রেমে পড়ে যাই।
এইবার... এইবার কিছু তিতা কথা কই। আগেই
স্পয়লার এলার্ট দিয়ে রাখি। যারা ভূয়সী প্রশংসা শুনে মুভিটি দেখে আবেগে
আপ্লুত হতে চেয়েছিলেন তারা আমার এই লেখা এড়িয়ে যান।
স্বামী
ভদ্রলোকটি আজীবন বাইরে কাজ করলেন, বই-পুস্তক, লেখক, পাঠক নিয়ে সময় কাটালেন,
ঘরের ভেতর কীভাবে কী হয়ে যাচ্ছে তার কোনো খোঁজই কোনোদিন রাখেন নি। চার
সন্তানকে গর্ভে ধারণ, তাদের জন্ম, লালনপালন, এত বড় একটা বাড়ির দেখাশোনা,
বাচ্চাদের পড়াশোনা, অসুস্থতা, কাজের লোকদের সামাল দেয়া, রান্না করা, এবং
স্বামী ভদ্রলোকটির পায়ের জুতা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুর দেখভাল করা, তাঁর
জীবনকে নির্বিঘ্ন করা যাতে তিনি বাইরের লোকের কাছে বিদ্বান দিকগজ হিসেবে
পরিচিত হতে পারেন... সবকিছু একা হাতে করেছেন স্ত্রীটি। বিয়ের পরপরই অসুস্থ
শ্বশুরের দেখাশোনার দায়িত্বও পড়েছিল সেই স্ত্রীটির কাঁধে। প্রথম
বিবাহবার্ষিকীতে স্বামীর দেয়া আলতা আর পায়েল পরে কেন বধূটি মন ভোলাতে আসেন
নি তাই নিয়ে তাঁর অভিমান। অথচ বধূটি সেবা করছে তাঁরই বাবার, নিজের বাবার
সেবা কিন্তু তিনি নিজে করেন নি। এত এত সব সাংসারিক দায়িত্ব যদি স্ত্রীটি
পালন না করতেন তাহলে কিন্তু অপবাদের বোঝাও তাকেই বইতে হতো।
আর কিনা
শেষবেলায় এসে স্বামীর মনে হলো স্ত্রীটি কেন কিছুই পারেন না। কেন
লাইব্রেরিতে কাজ করলেন না, কেন এত এত বই পড়ে পণ্ডিত হলেন না, কেন ব্যাংকের
লেনদেন করতে জানেন না, কেন তাঁর স্ত্রীটি স্বাবলম্বী নন! হুঁ, মানতেই হয়,
৪৯ বছর আগের এক বালিকা বধূ খুব পড়ালেখা জানতেন না, চাকরি করবারও সুযোগ তার
ছিল না। কিন্তু সেই সুযোগ থাকলেই কি আর না থাকলেই কি! মজুমদার সাহেবের বড়
ছেলে আর বউয়েরতো এই সমস্যা ছিল না। তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিল, বউটি
পড়ালেখা জানা শিক্ষিত মেয়ে, নিজ হাতে বুটিকের ব্যবসা করছে...স্বাবলম্বী।
তাও তো ছেলেটির বউয়ের উপর থেকে মন উঠে গেছে। কারণ কী? আর কিছু নয়, সাংসারিক
অভ্যস্ততায় তাদের প্রেমটা চাপা পড়ে গেছে। যে টিপটপ প্রেমিকাকে দেখে সে
মুগ্ধ হয়েছিল ঘরের আটপৌরে জীবনে তার দেখা আর পাওয়া যায় না। যার মেধা,
বুদ্ধির ধার তাকে পেশাগত জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছিল, এখন আর তার
সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ করবার সুযোগই হয় না। বাড়ি ফিরলেই রোজ পুরনো
কাসুন্দি বাচ্চার স্কুল, পড়া, সংসার খরচ, কাজের লোক... এসব করতে করতেই রাত
পার হয়ে যায়। তাই ছেলেটিকে বাইরের চটক খুঁজে নিতে হয়। এখন আর সে তার
ইন্টেলেকচুয়াল আলোচনার জন্য স্ত্রীর কাছে আসে না, চলে যায় অন্য একজনের
কাছে।
এ-ই হয়... এ-ই হয়ে আসছে। আর এইখানেই আমার আপত্তি। আরতি দেবীর
"বাহিরটা তুমি সামলাবে, আর ভিতরটা আমি... এমনই কথা ছিল।" এই কথাটিতেই আমার
আপত্তি। সংসার তো একজনের নয়, স্ত্রীর যেমন দায়িত্ব আছে স্বামীরও আছে।
দুইজনের সমঝোতায় সংসার চলে। দুজন দুজনের শারীরিক মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক
দেখভাল করলে তবেই সংসার সুখের হবে। মজুমদার সাহেব যদি বাহিরের কাজের সাথে
সাথে তাঁর স্ত্রীটিকেও ঘরের কাজে একটু সাহায্য করতেন, তবে তাঁর অনেকটা
বাড়তি সময় থাকতো, তিনি তখন কিছু পড়তে পারতেন, কিংবা একটু বাইরেও যেতে
পারতেন, স্বামী ভদ্রলোকটির সাথে বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় অংশ নিতে
পারতেন, তাঁদের কথাবার্তা তেল-নুন, বাচ্চা, কাজের লোকে আটকে থাকতো না, তাঁর
সমস্ত টেনশন বধূবরণ সিরিয়ালের কনকের জন্য হতো না। মজুমদার সাহেব যদি নিজের
জুতোজোড়া নিজেই খুঁজে নিতেন, নিজের কাপড় নিজের ধুয়ে রাখতেন কিংবা খাবার পর
বাসনকোসন তুলে রাখতেন তাহলেও তাঁর স্ত্রীটির কাজে একটু সাহায্য হতো। তিনি
তো তা করেন নি। বাহির আর ভিতর বলে আসলে কি কিছু আছে! সবই তো সবার, দুইজনের
সমান অংশীদার। স্বামীটি যা চাইবে সেটাই স্ত্রীর চাওয়া কেন হবে? কেন হতে
হবে? তার নিজস্বতা কেন থাকবে না? এখানেই আমার আপত্তি।
তবে হ্যাঁ
তারপরেও সিনেমাটা অনেক অনেক সুন্দর। অনেক কিছু শেখার আছে এই মুভি থেকে।
প্রত্যেক স্বামী-স্ত্রীর অবশ্যই পাশাপাশি বসে এই মুভি দেখা উচিৎ। সংসার,
দাম্পত্য শুধু যে অভ্যাসের ব্যাপার নয়, এই অভ্যাস, মমতা, নির্ভরতার
পাশাপাশি প্রেমও আছে... আর সেই প্রেম যে এমনি এমনি হয় না, চর্চা করতে হয়
সেটা শেখার ব্যাপার আছে। সবকিছু একপাশে সরিয়ে রেখে দুজনের আলাদা করে,
একান্ত কিছু সময় কাটানোর প্রয়োজন আছে, সেটা শুধু শারীরিক নয়, একটু
ভালোবাসার স্পর্শ বা দুজনের আগ্রহের বিষয় নিয়ে টুকটাক গল্প... এরও দরকার
আছে। ভালোবাসি ভেবে নিজের ভেতর চেপে রাখলেই হয় না, সেটা প্রকাশেরও প্রয়োজন
আছে। আর যারা এটা নিজেরা বোঝে না, তাদের জন্য এই মুভিটা দেখা খুব জরুরি।
আমি বলবো দেখুন, ভালবাসার মানুষটির পাশে বসে, হাতে হাত রেখে এই সিনেমাটা
দেখুন। আপনার মন বদলাবে, নতুন করে ভাবতে আর ভালবাসতে ইচ্ছা হবে।
অথবা,
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।