@shahnaz1980
স্কুল লাইফে একবার ঠিক করলাম নিজের টাকায় আব্বাকে স্যু কিনে দেব। ঘটনা
হল ক্রিকেট খেলতাম, কেডস লাগবে। বাটায় তখন পাওয়ারের এক জোড়া কেডস এসেছিল
দাম পনেরশ টাকা। আবদার করে বসলাম আব্বার কাছে
- আব্বা কেডস কিনে দাও।
আমার বাবার সেদিন কেডস কিনে দেবার সামর্থ্য ছিলনা। অনেক রাগারাগি করলাম। না খেয়ে থাকলাম। আম্মা এসে বলল
- তুই জানিস তোর আব্বা গত পাচ বছরে একই জুতা পরে চালিয়ে যাচ্ছে
.
প্রচন্ড ধাক্কা লাগল কথাটা শুনে। আব্বা পাচ বছর ধরে একই স্যু পরে অফিসে
যাওয়া আসা করছে। কালের বিবর্তনে যে জুতোর মিউজিয়ামে জায়গা হওয়ার কথা
চার কোণা জলছাপ কাগজের দৈন্যে সে জুতা লাইফ টাইম সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে
আব্বাকে।
.
আমি তখন ক্রিকেটের খেপ খেলতাম টুকটাক। ঠিক করলাম খেপ
খেলে টাকা জমিয়ে আব্বা কে স্যু কিনে দেব। এক খেপে তখন বেশী না ৫০ টাকা দিত
কোনটাতে খাওয়াত টাকা দিতনা। তো আমি প্রবল আগ্রহে আব্বাকে জুতা কিনে দিব
বলে স্কুল ফাকি দিয়ে খেপ খেলতে লাগলাম। বয়সে কম ছিলাম বলে নিতে চাইতোনা।
.
অনেক কষ্টে খেপ খেইলা জমালাম ৬০০ টাকা। মনে তখন আনন্দ। আব্বারে ঢাকায় ফোন দিয়া বললাম
- আপনি আগামী সপ্তাহে ফেনী আসেন দরকার আছে
.
বাবারে জুতা কিনে দিবে আজ তাই খেপ খেলে জমান ৬০০ টাকা নিয়ে গর্বিত ছেলে
গেল বাটার শো রুমে। জানতাম না কি অপেক্ষা করছে। ছয়শ টাকার মধ্যে জুতা
পাওয়া যাবে এক জোড়াই। এদিকে আমার আবার যেগুলা পছন্দ হইছে সেগুলার দাম
হাজারের উপরে। প্রচন্ড অক্ষমতায় আমি কাদতে লাগলাম। একবার মন চাইল শো রুমের
ম্যানেজার কে বলি
- আঙ্কেল বাকি দিবেন মাসে মাসে কিস্তিতে শোধ করে দিব।
.
সেদিন আব্বার জন্য নিজের টাকায় জুতো কেনার স্বপ্ন আমার পূরণ হয়নি। কঠিন
বাস্তবতা সেই স্কুল পড়ুয়া কিশোর কে শিখিয়ে দিয়েছিল , সাধ আর সাধ্যের
মধ্যে তফাত কতটুকু।
.
.
আপনজনের জন্য মন ভরে কিছু একটা করতে পারার অক্ষমতার কষ্ট সেবারই প্রথম পেয়েছিলাম
.
বাবার ধমকে দিন শুরু করা ছেলেটারও খুব ইচ্ছা করে নিজের টাকায় এক জোড়া
জুতো কিনে বাবার পায়ের কাছে বসে প্রাগৈতিহাসিক জুতোজোড়া খুলে নিজ হাতে
নতুন জোড়া পরিয়ে দিয়ে বলতে
- এইবার এই জোড়াকে মুক্তি দাও
.
টানাটানির সংসারে শহরে পড়তে আসা ছেলেটারও ইচ্ছা করে এবার ঈদে বাড়ি ফেরার
সময় মায়ের জন্য ভালো একটা দামী শাড়ি কিনে নিয়ে যেতে। কলিংবেল বাজানোর
পর মা দরজা খুলে দেখবে তার পাগল ছেলেটা শাড়ির জমিন খুলে হাসিমুখে বলছে
- জমিন টা আমার মায়ের সরল মুখটার মত
.
বোনের আবদার মেটাতে অক্ষম ভাইটারও ইচ্ছা করে এবারের ছুটিতে একটা
এন্ড্রোয়েড মোবাইল কিনে বোনের কলেজের ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখে সাথে একটা
চিরকুট লিখে দিতে
- এবার থেকে দেখব হোয়াটস এপে ভাইকে কত জ্বালাতে পারিস
.
মানিব্যাগের খুচরো টাকা দিয়ে কেনা রক্তগোলাপ ছাড়া প্রেমিকাকে আর কিছু
দিতে অক্ষম প্রেমিক ছেলেটারও ইচ্ছা করে এক গুচ্ছ চুড়ি না ,চকবাজার থেকে
হোলসেলে চুড়ির পুরো গাট্টিটা এনে সেটাকে প্রেমিকার সামনে রেখে কপালের ঘাম
মুছতে মুছতে বলতে,
- নে পাগলী। এবার দেখব কত চুড়ি পড়তে পারিস ,আর কত চুড়ি অভিমানে ভাংতে পারিস
.
এই অক্ষম মানুষগুলোর দেয়ার ক্ষমতা হয়ত নেই ,কিন্তু পৃথিবী জেনে রাখুক তাদের ভালোবাসায় এতটুকু খাদ নেই।
.
এ পৃথিবীতে নানান রঙ্গের কষ্ট আছে। কিন্তু আপন জন কে মন ভরে না দিতে পারার মত কষ্ট কিছুতে নেই|
Written by Warish Azad Nafi
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর. ছোট ছোট 'sacrifice' অথবা ‘compromise’ দিয়ে.
"মুরগির রান টা ওকে দেই,ওর সবচে প্রিয়. না থাক এখন থেকে আর নাচ করব না ওর ভালো লাগে না. পুরানো দিন এর গান গুলো শুনব না ও বিরক্ত হয় , বাজুক না জোরে জোরে ওর ‘বীট য়ালা ’ গান. না থাক, বন্ধু দের সাথে অলস বিকাল এ গল্প করতে যাব না বাসায় প্রবলেম হবে. খাবার এ ঝাল একটু কম দেই ওর আবার বেশি ঝাল পছন্দ না. শপিং আজকে বাদ দেই, অফিস থেকেই এসেই তো নাস্তা চাবে. সবাই খুশি , আমিও খুশি."
মমতা. ভালবাসা. আহা, কি ভয়ংকর শক্তি এই ভালবাসাতে! এর কারনে বোধই আমরা এখনো মাথা ঠেকানোর জায়গা পাই , এর কারনে বোধই শেষ হয়ে যাইনি জলে পুরে এই নিষ্ঠুর , ক্লান্তিময় জীবন যাত্রায়.
কিন্তু (হায়রে কিন্তু রে !) - একটা বড় কিন্তু আছে. পৃথিবীতে সব সুখের জন্য কোনো না কোনো মুল্য চুকাতে হয়. এই মমতা যে অসীম , নিস্বার্থ ভাবে বিলিয়ে দেই তাকেই বোধই চুকাতে হয় সবচাইতে বেশি - নিজেকে দিয়ে.
এই ছোট ছোট, দিন প্রতি দিনের বলিদান গুলো দেবার সময় কিন্তু ভালই লাগে. ভালবাসার মানুষ কে খুশি দেখে , ঘরের শান্তি ধরে রেখে , কোন মেয়ে না খুশি হয় বলেন? আফটার অল , সবাই কে “manage” করে যদি চলতেই না পারল , সেই মেয়ে হলো কেমন ধরনের? তাই না?
কিন্তু একটা সময় আসে , যখন হুট করে আয়নায় নিজেকে চেনা যায় না. মেয়েটি ভাবে, "আমার স্বপ্ন গুল কি যেন? আমার প্রিয় খাবারটা শেষ কবে যেন খেয়েছি? আমার না এক সময় নাচতে ভালো লাগত, নুপুর পরে? প্রিয় বন্ধুদের সাথে কত দিন আড্ডা দেয়া হয় না, আমাদের সেই কফি সপ টা এখনো কি খোলা আছে?"
ভেতর থেকে চিত্কার আশে, "কে তুমি? কি তুমি? ফিরে আসবানা ?"
মেয়েটি চোখের পানি আটকিয়ে উত্তর দেয় “আমি একজন এর মেয়ে সন্তান.একজন এর লক্ষী বউ. এবং কোনো একদিন হব কারো মা.”
ভেতর থেকে আবার চিত্কার আশে,”হা,হা, বুঝলামতো. কিন্তু তুমি কে ?”
মেয়েটা বিস্ময় তাকিয়ে থাকে আয়নায়.চুপটি করে বলে, “জানিনা. জানিনা. এবং জানতেও চাই না.”
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর...
- Farhana Muna
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর. ছোট ছোট 'sacrifice' অথবা ‘compromise’ দিয়ে.
"মুরগির রান টা ওকে দেই,ওর সবচে প্রিয়. না থাক এখন থেকে আর নাচ করব না ওর ভালো লাগে না. পুরানো দিন এর গান গুলো শুনব না ও বিরক্ত হয় , বাজুক না জোরে জোরে ওর ‘বীট য়ালা ’ গান. না থাক, বন্ধু দের সাথে অলস বিকাল এ গল্প করতে যাব না বাসায় প্রবলেম হবে. খাবার এ ঝাল একটু কম দেই ওর আবার বেশি ঝাল পছন্দ না. শপিং আজকে বাদ দেই, অফিস থেকেই এসেই তো নাস্তা চাবে. সবাই খুশি , আমিও খুশি."
মমতা. ভালবাসা. আহা, কি ভয়ংকর শক্তি এই ভালবাসাতে! এর কারনে বোধই আমরা এখনো মাথা ঠেকানোর জায়গা পাই , এর কারনে বোধই শেষ হয়ে যাইনি জলে পুরে এই নিষ্ঠুর , ক্লান্তিময় জীবন যাত্রায়.
কিন্তু (হায়রে কিন্তু রে !) - একটা বড় কিন্তু আছে. পৃথিবীতে সব সুখের জন্য কোনো না কোনো মুল্য চুকাতে হয়. এই মমতা যে অসীম , নিস্বার্থ ভাবে বিলিয়ে দেই তাকেই বোধই চুকাতে হয় সবচাইতে বেশি - নিজেকে দিয়ে.
এই ছোট ছোট, দিন প্রতি দিনের বলিদান গুলো দেবার সময় কিন্তু ভালই লাগে. ভালবাসার মানুষ কে খুশি দেখে , ঘরের শান্তি ধরে রেখে , কোন মেয়ে না খুশি হয় বলেন? আফটার অল , সবাই কে “manage” করে যদি চলতেই না পারল , সেই মেয়ে হলো কেমন ধরনের? তাই না?
কিন্তু একটা সময় আসে , যখন হুট করে আয়নায় নিজেকে চেনা যায় না. মেয়েটি ভাবে, "আমার স্বপ্ন গুল কি যেন? আমার প্রিয় খাবারটা শেষ কবে যেন খেয়েছি? আমার না এক সময় নাচতে ভালো লাগত, নুপুর পরে? প্রিয় বন্ধুদের সাথে কত দিন আড্ডা দেয়া হয় না, আমাদের সেই কফি সপ টা এখনো কি খোলা আছে?"
ভেতর থেকে চিত্কার আশে, "কে তুমি? কি তুমি? ফিরে আসবানা ?"
মেয়েটি চোখের পানি আটকিয়ে উত্তর দেয় “আমি একজন এর মেয়ে সন্তান.একজন এর লক্ষী বউ. এবং কোনো একদিন হব কারো মা.”
ভেতর থেকে আবার চিত্কার আশে,”হা,হা, বুঝলামতো. কিন্তু তুমি কে ?”
মেয়েটা বিস্ময় তাকিয়ে থাকে আয়নায়.চুপটি করে বলে, “জানিনা. জানিনা. এবং জানতেও চাই না.”
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর...
- Farhana Muna
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর. ছোট ছোট 'sacrifice' অথবা ‘compromise’ দিয়ে.
"মুরগির রান টা ওকে দেই,ওর সবচে প্রিয়. না থাক এখন থেকে আর নাচ করব না ওর ভালো লাগে না. পুরানো দিন এর গান গুলো শুনব না ও বিরক্ত হয় , বাজুক না জোরে জোরে ওর ‘বীট য়ালা ’ গান. না থাক, বন্ধু দের সাথে অলস বিকাল এ গল্প করতে যাব না বাসায় প্রবলেম হবে. খাবার এ ঝাল একটু কম দেই ওর আবার বেশি ঝাল পছন্দ না. শপিং আজকে বাদ দেই, অফিস থেকেই এসেই তো নাস্তা চাবে. সবাই খুশি , আমিও খুশি."
মমতা. ভালবাসা. আহা, কি ভয়ংকর শক্তি এই ভালবাসাতে! এর কারনে বোধই আমরা এখনো মাথা ঠেকানোর জায়গা পাই , এর কারনে বোধই শেষ হয়ে যাইনি জলে পুরে এই নিষ্ঠুর , ক্লান্তিময় জীবন যাত্রায়.
কিন্তু (হায়রে কিন্তু রে !) - একটা বড় কিন্তু আছে. পৃথিবীতে সব সুখের জন্য কোনো না কোনো মুল্য চুকাতে হয়. এই মমতা যে অসীম , নিস্বার্থ ভাবে বিলিয়ে দেই তাকেই বোধই চুকাতে হয় সবচাইতে বেশি - নিজেকে দিয়ে.
এই ছোট ছোট, দিন প্রতি দিনের বলিদান গুলো দেবার সময় কিন্তু ভালই লাগে. ভালবাসার মানুষ কে খুশি দেখে , ঘরের শান্তি ধরে রেখে , কোন মেয়ে না খুশি হয় বলেন? আফটার অল , সবাই কে “manage” করে যদি চলতেই না পারল , সেই মেয়ে হলো কেমন ধরনের? তাই না?
কিন্তু একটা সময় আসে , যখন হুট করে আয়নায় নিজেকে চেনা যায় না. মেয়েটি ভাবে, "আমার স্বপ্ন গুল কি যেন? আমার প্রিয় খাবারটা শেষ কবে যেন খেয়েছি? আমার না এক সময় নাচতে ভালো লাগত, নুপুর পরে? প্রিয় বন্ধুদের সাথে কত দিন আড্ডা দেয়া হয় না, আমাদের সেই কফি সপ টা এখনো কি খোলা আছে?"
ভেতর থেকে চিত্কার আশে, "কে তুমি? কি তুমি? ফিরে আসবানা ?"
মেয়েটি চোখের পানি আটকিয়ে উত্তর দেয় “আমি একজন এর মেয়ে সন্তান.একজন এর লক্ষী বউ. এবং কোনো একদিন হব কারো মা.”
ভেতর থেকে আবার চিত্কার আশে,”হা,হা, বুঝলামতো. কিন্তু তুমি কে ?”
মেয়েটা বিস্ময় তাকিয়ে থাকে আয়নায়.চুপটি করে বলে, “জানিনা. জানিনা. এবং জানতেও চাই না.”
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর...
- Farhana Muna
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর. ছোট ছোট 'sacrifice' অথবা ‘compromise’ দিয়ে.
"মুরগির রান টা ওকে দেই,ওর সবচে প্রিয়. না থাক এখন থেকে আর নাচ করব না ওর ভালো লাগে না. পুরানো দিন এর গান গুলো শুনব না ও বিরক্ত হয় , বাজুক না জোরে জোরে ওর ‘বীট য়ালা ’ গান. না থাক, বন্ধু দের সাথে অলস বিকাল এ গল্প করতে যাব না বাসায় প্রবলেম হবে. খাবার এ ঝাল একটু কম দেই ওর আবার বেশি ঝাল পছন্দ না. শপিং আজকে বাদ দেই, অফিস থেকেই এসেই তো নাস্তা চাবে. সবাই খুশি , আমিও খুশি."
মমতা. ভালবাসা. আহা, কি ভয়ংকর শক্তি এই ভালবাসাতে! এর কারনে বোধই আমরা এখনো মাথা ঠেকানোর জায়গা পাই , এর কারনে বোধই শেষ হয়ে যাইনি জলে পুরে এই নিষ্ঠুর , ক্লান্তিময় জীবন যাত্রায়.
কিন্তু (হায়রে কিন্তু রে !) - একটা বড় কিন্তু আছে. পৃথিবীতে সব সুখের জন্য কোনো না কোনো মুল্য চুকাতে হয়. এই মমতা যে অসীম , নিস্বার্থ ভাবে বিলিয়ে দেই তাকেই বোধই চুকাতে হয় সবচাইতে বেশি - নিজেকে দিয়ে.
এই ছোট ছোট, দিন প্রতি দিনের বলিদান গুলো দেবার সময় কিন্তু ভালই লাগে. ভালবাসার মানুষ কে খুশি দেখে , ঘরের শান্তি ধরে রেখে , কোন মেয়ে না খুশি হয় বলেন? আফটার অল , সবাই কে “manage” করে যদি চলতেই না পারল , সেই মেয়ে হলো কেমন ধরনের? তাই না?
কিন্তু একটা সময় আসে , যখন হুট করে আয়নায় নিজেকে চেনা যায় না. মেয়েটি ভাবে, "আমার স্বপ্ন গুল কি যেন? আমার প্রিয় খাবারটা শেষ কবে যেন খেয়েছি? আমার না এক সময় নাচতে ভালো লাগত, নুপুর পরে? প্রিয় বন্ধুদের সাথে কত দিন আড্ডা দেয়া হয় না, আমাদের সেই কফি সপ টা এখনো কি খোলা আছে?"
ভেতর থেকে চিত্কার আশে, "কে তুমি? কি তুমি? ফিরে আসবানা ?"
মেয়েটি চোখের পানি আটকিয়ে উত্তর দেয় “আমি একজন এর মেয়ে সন্তান.একজন এর লক্ষী বউ. এবং কোনো একদিন হব কারো মা.”
ভেতর থেকে আবার চিত্কার আশে,”হা,হা, বুঝলামতো. কিন্তু তুমি কে ?”
মেয়েটা বিস্ময় তাকিয়ে থাকে আয়নায়.চুপটি করে বলে, “জানিনা. জানিনা. এবং জানতেও চাই না.”
শুরুটা ছিল কিন্তু খুব সুন্দর...
- Farhana Muna
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
[উস্তাদ নুমান আলী খানের লেকচার অবলম্বনে অনুবাদ]
টিনেজারদের বাবা-মারা প্রায় সময়ই আমার কাছে আসেন। "জানেন, আমার ছেলেটা না, আমার কথা শোনেই না আজকাল। আপনি ওর সাথে একটু কথা বলবেন?" যেন আমি কোনো মহৌষধ সাথে নিয়ে ঘুরি! যেন সেই ছেলেটা আমার কাছে আসলে আমি ওর গায়ে ফু দিয়ে দেব এভাবে। .. আর সাথে সাথেই সে দারুন লক্ষী ছেলে হয়ে যাবে! "একটু যদি কথা বলতেন। ..." না, বরং আপনি আপনার ছেলের সাথে কথা বলছেন না কেন? কোথায় ছিলেন আপনি যখন তার সাথে কথা বলার প্রকৃত সময় ছিল?
আজকে আমি আপনাদের সাথে বাবা-মাদের নিয়ে একটু কথা বলব, তারপর বলব স্বামী-স্ত্রীদের নিয়ে। আজকে এই দু'টো জিনিস নিয়ে বলারই সময় আছে। দু'টো খুবই মৌলিক সম্পর্ক: একটা আপনার সন্তানদের সাথে, আরেকটা আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে। এই দু'টো সম্পর্কের ব্যপারেই আমরা খুব বেসিক কিছু ব্যপার নিয়ে আলোচনা করব।
আপনার সন্তান যখন ছোট, খুবই ছোট, ধরুন যখন তাদের বয়স পাঁচ, ছয়, সাত, দুই, তিন, চার, তখন তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিসটা বলুন তো? আমার নিজের পাঁচটা বাচ্চা আছে, তাই আমি খুব ভালো বলতে পারব এ ব্যপারে। তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার সমর্থন। তারা আপনাকে গর্বিত করতে চায়। তারা যা যা করেছে সব আপনাকে দেখাতে চায়। ধরুন, আমি জরুরী কোনো কাজের আলাপ করছি ফোনে, জরুরী একটা ফোন, আর এ সময় আমার দুই বছরের ছেলে এসে বলবে, "আব্বা আব্বা আব্বা আব্বা আব্বা।" ..."ভাই, একটু লাইনে থাকেন" ... "কি হয়েছে?" ... "হে হে হে" ব্যস! আমি আবার ফোনালাপে ফিরে গেলাম, সে আবার আমাকে ডাকা শুরু করল। আমি বললাম, "আচ্ছা ঠিক আছে, কি হয়েছে বলো" ... "আমি তোমাকে একটা জিনিস দেখাবো" ... "কি দেখাতে চাও বাবা?" ... ব্যস এটাই! কিন্তু আমার এ ক্ষেত্রে কি করা উচিত বলুন তো? "আল্লাহ! দারুন তো! আবার করো দেখি" ... "আমি আপনাকে পরে ফোন দিচ্ছি" ... আপনার সন্তানরা যা করে আপনার উচিত তার কদর করা। এটা তাদের পরম আরাধ্য। অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে বেশি তারা এটাই চায় আপনার কাছে।
আমার তিনটি মেয়ে আছে। আর ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য কি জানেন তো? ছেলেরা এক জায়গায় বসে থাকতে পারেনা, আর মেয়েরা কথা বলা থামাতে পারে না। তো আমি আমার মেয়েদের স্কুল থেকে যখন নিয়ে আসি - একজন ক্লাস ওয়ানে আরেক জন ক্লাস থ্রিতে পড়ে - আমি ওদের স্কুল থেকে বাসায় নিয়ে আসি ২৫ মিনিট গাড়ি চালিয়ে। আর এই পুরোটা সময় তারা কি করে জানেন? "জানো আজকে ক্লাসে কি হয়েছে? আমরা একটা ডাইনোসর রং করেছি, এটা করেছি, ওটা করেছি, প্রথমে আমি বেগুনী রং করলাম, তারপর ভাবলাম একটু সবুজ রং-ও দেই" - এভাবে বলতে থাকলো তো বলতেই থাকলো। থামার কোনো নামই নেই। থামা সম্ভবই না ওদের পক্ষে। আর আমাকেও মনযোগ দিয়ে সেটা শুনতে হবে। শুনতে হবে আমাকে। আমি বললাম, "ও তাই? নীল রং দাও নি?" .."না অল্প একটু নীল দিয়েছি"। আমাকে মনোযোগ দিতে হবে। আর আমি এগুলো কেন বলছি জানেন? আচ্ছা দাঁড়ান, আগে অন্য একটা গল্প বলে নেই। তাতে আপনাদের ঘুমটাও একটু কাটবে।
এই গল্পটা আমি প্রায়ই বলি। আমার বড় মেয়েটা, হুসনা, যখন ছোট ছিল তখন আঙ্গুল দিয়ে ছবি আঁকতে খুব পছন্দ করত। সে তার আঙ্গুলগুলো রঙের মধ্যে চুবিয়ে তারপর সেগুলো দিয়ে হাবিজাবি আঁকত। তো একদিন এক বিশাল কার্ডবোর্ড নিয়ে সে আমার কাছে হাজির! সেখানে নীল রং দিয়ে বিশাল কি যেন আঁকা, আগামাথা কিছুই বুঝলাম না। সে বলল, "আব্বা, দেখো আমি কি এঁকেছি?" আর আমি বললাম, "বাহ, দারুন! একটা পাহাড়!" আর সে বলল, "না, এটা তো আম্মু!" আমি বললাম, "খাইছে!" "আম্মুকে এই কথা বোলো না কিন্তু"
তবে যে কথাটা আমি বলতে চাচ্ছি তা হলো ওরা আপনার সমর্থন পাওয়ার জন্য ব্যাকুল। ব্যাকুল তারা এর জন্য। কিন্তু আপনাদের মধ্যে যাদের সন্তানরা টিনেজার, তাদের যখন স্কুল থেকে আনতে যান, এমন কি হয় যে তারা গাড়িতে উঠে কথা বলা থামাতে পারছে না? হয় এমন? "জানো আজকে স্কুলে কি হয়েছে? টিচার এটা বলেছে, ওটা করেছে, পরীক্ষায় 'এ' পেয়েছি"। না! তারা একদম চুপ! বরং আপনিই বলার চেষ্টা করবেন, "কেমন গেল দিন?" .."মোটামুটি".."কি করলে সারাদিন?" .. "কিছু একটা".. "আজকে কোথায় যাবে?" .. "যাব কোথাও"। কথা বলেই না তারা! তাদের কথা বলানো অনেকটা পুলিশের আসামীকে জেরা করার মত ব্যপার। আপনাকে তারা কিছুই বলে না। আর যখন আপনি তাকে প্রশ্ন করছেন, তখন হয়ত সে তার বন্ধুকে এস,এম,এস পাঠাচ্ছে, "আব্বা আজকে বেশি প্রশ্ন করছে! ঘটনা কি? তুমি ওনাকে কিছু বলেছ নাকি?" ... যা আমি বলতে চাচ্ছি, তা খুবই সহজ। ছোট বয়সে আপনার বাচ্চারা আপনার মনোযোগ পাওয়ার জন্য পাগল থাকে। আর যখন তারা বড় হবে, আপনি তাদের মনোযোগ পাওয়ার জন্য পাগল হবেন।
কিন্তু তারা যখন ছোট থাকে তখন যদি আপনি তাদের মনোযোগ না দেন - তারা খেলনা নিয়ে আপনার কাছে আসলে যদি বলেন, "ঘরে যাও! আমি সংবাদ দেখছি", "খেলা চলছে। এই, তুমি ওকে একটু সরাও তো!", "সারাদিন অনেক কাজ করেছি, এখন ওকে সামলাতে পারব না", "বাসায় আমার বন্ধুরা এসেছে, কি বলবে ওরা? যাও ঘুমাতে যাও। যাও এখান থেকে" - আপনি যখন ওদের সাথে এমন আচরণ করবেন, যেন তারা আপনার জন্য প্রতিবন্ধকতা, আপনার কাজ হচ্ছে চাকরি করা, আর বাসায় এসেছেন শুধু বিশ্রাম নিতে। না রে ভাই! আপনার কাজ শুরু হয়েছে তখনই যখন আপনি ঘরে ফিরেছেন। সেটাই আপনার আসল কাজ। চাকরিতে যে কাজ করেছেন সেটা শুধুমাত্র এজন্য যেন ঘরের আসল কাজটা ঠিকমত করতে পারেন।
একজন প্রকৃত বাবা হন। উপস্থিত পুরুষদেরকে বলছি। একজন প্রকৃত বাবা হন। আপনার সন্তানদের সাথে সময় কাটান। তারা শুধু এ জন্য নেই যে আপনি তাদের স্কুলে ছেড়ে আসবেন, আর বাসায় ফিরে শুধু ঘুমাতে যাবেন, কোনো ঝামেলায় যাবেন না, তাদের সাথে কথা বলবেন না। এবং তাদের সাথে কথা না বলার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তাদের একটা আইপড টাচ অথবা আইফোন ধরিয়ে দিন, তাদের নিজস্ব রুমে একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে দিন হাই-স্পিড ইন্টারনেট সহ। তাহলে আপনাকে তাদের চেহারাও দেখা লাগবে না। তারা সারাদিন তাদের ঘরে থেকেই ফেসবুকিং করতে থাকবে, অনলাইনেই নিজেদের জন্য নতুন বাবা-মা খুঁজে নিবে না হয়।
সিরিয়াস্লি বলছি। প্রকৃত বাবা হন। প্রকৃত মা হন। আপনার মাতৃত্ব বা পিতৃত্বের বদলি হিসেবে এইসব জিনিসকে আসতে দিয়েন না। কারণ যদি তা দেন, তাহলে ওরা যখন স্বাবলম্বী হয়ে যাবে তখন বেশির ভাগ বাবা-মার কি হয় জানেন? আপনাদের বেশিরভাগের ছেলেমেয়েরা আপনাদেরকে দেখে কতগুলো টাকার মেশিন হিসেবে। শুধুমাত্র কখন তারা আপনাদের কাছে আসে? - "বাবা, আমাকে ৫ ডলার দাও তো" জানি আজকাল কেউ আর ৫ ডলার চায় না, কমপক্ষে ২০ ডলার। কিচ্ছু বাচ্চাদের চিনি যারা এত কম টাকা দেখেইনি, ৫ ডলারের নোট্ চিনেই না তারা। "আমাকে ২০ ডলার দাও তো", "শপিং মলে যেতে চাই, আমাকে একটু পৌঁছিয়ে দাও তো", "বন্ধুদের বাসায় যাই?" "এটা করতে পারি?" "ওটা কিনতে পারি?" যখন তাদের কোনো কিছুর দরকার তখন তারা আপনার কাছে আসে। এর বাইরে আপনি তাদের খুঁজে পাবেন না। আর যখন তারা বড় হবে, নিজেরাই একটু আধটু কামাই করতে পারবে, তখন কি হবে? তাদের দেখাই পাবেন না আর। কারণ আপনার টাকার মেশিনও এখন আর দরকার নেই। এর প্রয়োজন শেষ। আপনি যদি এই ধরনের সম্পর্ক তৈরী করেন, তাহলে নিশ্চিত বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছেন। আপনাকে এখনই পরিবর্তন আনতে হবে।
আর পরিবর্তনের উপায় হলোঃ জানি এটা অনেকের জন্যই করাটা কঠিন হবে, কিন্তু আমাদেরকে আমাদের সন্তানদের সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। আমাদেরকে তাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে হবে। আমাদের সাথে সময় কাটানোটা তাদের কাছে উপভোগ্য হতে হবে।
--- :: --- :: ---
অনুবাদ করেছেনঃ আহমেদুল কবির
সময়ের সাথে সাথে আমরা আধুনিক হচ্ছি ৷ খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ৷ কিন্তু অতি আধুনিকতা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সেটা ভাবার বিষয় ৷ আমার মা বলতেন জীবনে সব কিছু তে একটা লিমিটেশন মেইন্টেন করা ভালো ৷ কোন কিছুতে অতিরিক্ত মাত্রা যোগ হলে সর্বনাশ নেমে আসে ৷
নিচের এই ছবিটি ওয়েডিং ফটোগ্রাফীর একটা পেজ তাদের কাজটাকে প্রমোট করছে এই ছবিটিও দিয়ে ৷ এরকম একটা ছবি দেখতে হবে ভেবে কখনই প্রস্তুত ছিলাম না ৷ আমাদের আধুনিকতার আগে অতি শব্দটা যোগ হয়েই গেল মনে হচ্ছে ৷ কে জানে কয়দিন পর হয়ত নিজের পরিবারের কারোর এমন ছবি দেখবো!!!
অতি আধুনিক হতে গিয়ে আমরা সবকিছুতে নান্দনিকতা হারাচ্ছি ৷ আগে বিয়েতে ছেলে মেয়ে আলাদা স্টেজে বসতো ৷ এখন হলুদের অনুষ্ঠান পর্য়ন্ত এক সাথে পাশাপাশি বসে পালন করে ৷ বর কনে একে অন্যের দিকে হেসে হেসে তাকিয়ে (কোন কোন ক্ষেত্রে হাসতে হাসতে বরের গায়ে কনেকে আছড়ে পড়তেও দেখা যায়) কথা বলতে বলতে শ্বশুড় বাড়ী চলে যায় ৷ আপাতদৃষ্টিতে তাদেরকে বরকনে কম রাজনৈতিক সহযোগী বেশি মনে হয় ৷ স্টেজও আছে, ক্যামেরাও আছে, হাসি আছে, কথাও আছে ৷
ইংরেজী তে একটা ফ্রেইস আছে "butterfly in the stomach" এটাকে ব্যবহার করা হয় ভালোবাসার মানুষ কে কিংবা নতুন জীবনসঙ্গীকে দেখলে একজন ছেলে বা মেয়ের মনের মধ্যে যে শিহরন হয় তা বোঝাতে ৷ একটা প্রজাপতি কে পাকস্হলীর ভেতর ছেড়ে দিলে যেরকম অনুভূত হবে ঠিক সেরকম অনুভূত হয়েছিল আমার নিজেরও ৷ বিয়েরদিন বরের চোখে চোখ রাখতে পারিনি পর্যন্ত ৷ শ্বশুড়বাড়ীর উদ্দেশ্য বিদায় নেবার পর গাড়ীতে বর প্রথম আমার ডান হাতটা আলতো করে ছুঁয়ে দিল ৷ butterfly in the stomach কি তখন টের পেলাম ৷
সময় কখনও বদলায় না ৷ সময় তার নিজস্ব গতিতে চলে ৷ বদলাই আমরা ৷ আধুনিকতার সংজ্ঞাও বদলে ফেলি এই আমরাই ৷ নিচের এই ছবি দেখে একটাই আফসোস হয় ৷ এরকম বিয়ের বরকনে আর কখনও রবীন্দ্রনাথের "হৈমন্তী" গল্পের অপুর মত মনে মনে বলবেনা "আমি পাইলাম… আমি ইহাকে পাইলাম ৷ এযে দুর্লভ, এযে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে ৷ "
Happy wedding....
(লেখাটা নুসরাত জাহান তিথি আপুর )
জয়েন্ট ফ্যামিলি তে সব শাশুড়ি কি খারাপ ? কিংবা সব দোষ কি বউ এর ?কার দায়িত্ব বেশি ? বউ না শাশুড়ির ?কিভাবে সম্পর্ক ভালো রাখা যায় ?আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি তোমাদের কি মত ?(এই লিখাটা আমি অনেক আগে এক জায়গায় লিখেছিলাম )
আমি নিজের ১১ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে যেটা বুঝলাম তা হলো এইসব ক্ষেত্রে ছেলেই মাকে বুঝাতে পারে বিয়ে হলেও এখনো সে আগের মতই মাকে গুরুত্ব দেয়.মাকে ভালবাসে .বিয়ের পরে তার জীবনে কিছু পরিবর্তন আসবে কিন্তু কোনো ভাবেই সে মাকে অবহেলা করছে না . আর কথাও যেতে হলে, নতুন কিছু কিনতে হলে , কোনো প্রোগ্র্যাম করতে হলে আগে থেকেই মাকে কিছু হিন্টস দিয়ে রাখা ভালো.তাতে ভুল বুঝাবুঝি হবে না.আর মায়ের অভিজ্ঞতা যেহেতু বেসি সেহেতু ছেলে আর বউ দুজনেই মায়ের কাছ থেকেও কিছু কিছু পরামর্শ নিতে পারে .আবার উনার যদি কোনো গোড়ামি থাকে সেটাও ছেলে তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পারে. ছেলে আর বউ দুজনে মিলে মায়ের পছন্দের খাবার রান্না করতে পারে ,৩ জনে মিলে সপিন্গে যেতে পারে . এখানেই শাশুড়ি / বউ না , ছেলেকেই ভাইটাল রোল প্লে করতে হবে ! আমার হাজ বেন্ড আমাকে প্রথমেই বলে দিয়েছে যেহেতু আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলি এবং মেম্বার বেশি তাই প্রবলেম হতেই পারে কিন্তু আমি যেন কাউকে অসন্ম্মান না করি ,সামনাসামনি সম্পর্ক খারাপ না করি টেকনিক্যালি হ্যান্ডেল করি ! আবার একই ভাবে অন্যদের ও বলে দিয়েছে আমাকে যা শিখাবে আমি তাই শিখব ,ভালো ব্যবহার করলে আমিও তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করব ! সংসার জীবনে আমি নতুন কিন্তু উনারা অভিজ্ঞ তাই যেন আমার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করে কারণ আমরা একসাথে থাকতে চাই !মোট কথা মাকে বুঝাতে হবে তিনি এখনো তার ছেলের কাছে আগের মতই গুরুত্বপূর্ণ এবং তার বউ ও এখন তার জীবনের একটা অংশ !!১১ বছর ধরে এভাবেই জয়েন্ট ফ্যামিলিতে আছি .এবং আলহামদুলিল্লাহ ভালই আছি .
অথবা,
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।