আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন নামের একটি অক্সিজেনবাহী লৌহসমৃদ্ধ বর্তুলাকার মেটালোপ্রোটিন থাকে। প্রতি গ্রাম হিমোগ্লোবিন ১.৩৬ হতে ১.৩৭ মিলিলিটার অক্সিজেন ধারণ করতে পারে। আর লৌহ এবং অক্সিজেনের যৌগগুলোর ক্ষেত্রে লাল বর্ণ ধারণ করার প্রবণতা থাকে। ঠিক এই কারণেই রক্তের রঙ লাল হয়।
আমাদের রক্তের মাঝে লোহা (হিমোগ্লোবিন) আছে। লোহার বৈশিষ্ট্য হল সে লাল থাকে বেশির ভাগ যৌগে।
আর এই লালের জন্য দায়ি লোহা (হিমোগ্লোবিন) আছে বলেই আমাদের রক্ত লাল।
অপর দিকে টিকটিকির লোহা নেই বলে তার রক্ত লাল নয়। চিংড়ির ও তেমনই।
আবার যদি কোনো ভাবে আমাদের রক্তে লোহা না থেকে তামা থাকত তবে আমাদের রক্ত হত নীল। এই ব্যাপারটা কল্পনা করে অনেক সায়েন্স ফিকশন রচিত হয়েছে যাদের রক্ত থাকে নীল।
হিমোগ্লোবিন নামক এক প্রকার রঞ্জক পদার্থ লোহিত কণিকায় থাকে। এর বর্ণ লাল। প্রকৃত পক্ষে হিমোগ্লোবিনের এই লাল রঙ –ই রক্তকে লাল করে তোলে। হিমোগ্লোবিন লোহা ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি।