আসুন রাজনীতিকে ঘৃণা না করে,আমরা সকলে ...সকলের হাতে হাত রেখে সুস্থ রাজনীতি করি-
বিশ্বে প্রতি ৮৮ জন শিশুর মধ্যে একজন অটিস্টিক শিশু জন্ম নিচ্ছে। কিন্তু এর কারণ? গত শতাব্দীর গবেষণায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তত্ত্ব ও কারণ উঠে এলেও এই শতকে অটিজমের কারণ সম্পর্কে শতাব্দীপ্রাচীন একটি তত্ত্বের কথাই আবারও নতুন করে বলছেন গবেষকেরা।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অটিস্টিক শিশুর জন্য দায়ী বয়স্ক বাবা অর্থাত্ দেরিতে বিয়ে করা পুরুষ অটিস্টিক শিশুর জন্মের কারণ হতে পারেন। আরেকটি গবেষণায় অবশ্য অটিজমের কারণ হিসেবে মাকেও দায়ী করা হয়েছে। গবেষকেরা তাই এখন বলছেন, অটিজমের জন্য বাবা-মা বা বংশগতিই দায়ী।
১৯৩৮ সালে জার্মান বিজ্ঞানী ড. হ্যান্স এসপারজার ও ১৯৪৩ সালে জন হপকিনস হাসপাতালের ড. লিও কানের অটিজম সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেন। পঞ্চাশের দশকের পুরোনো তত্ত্বটিই আবারও সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়টাতে গবেষকেরা নিশ্চিত ধরেই নিয়েছিলেন যে অটিজমের সঠিক কারণ সম্পর্কে তাঁরা জ্ঞাত। তাঁদের ধারণা ছিল, বংশগতির অস্বাভাবিকতা বা বাবা-মায়ের কাছ থেকেই অটিজমের উত্পত্তি। পঞ্চাশের দশকের সেই ‘রেফ্রিজারেটর মাদার’ তত্ত্বটি সাম্প্রতিক সময়ে আবারও আলোড়ন তুলেছে। ২০০৩ সালে ‘রেফ্রিজারেটর মাদারস’ নামের একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পঞ্চাশের দশকের যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিশু মনস্তত্ত্ববিদ ব্রুনো বেটেলহেইমের ‘রেফ্রিজারেটর মাদার’ ধারণাটিকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। রেফ্রিজারেটর মাদার তত্ত্ব অনুসারে, অটিস্টিক শিশুর জন্ম হয় ‘অনুভূতিশূন্য’ বা ‘শীতল’ মায়ের কাছ থেকে। সীমাবদ্ধ ও গণ্ডিবদ্ধ জীবনের এই বৈশিষ্ট্যই শিশুর ক্ষেত্রে অটিজমের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অবশ্য ১৯৭০ সালের দিকে এই ধারণা থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছিলেন মনস্তত্ত্ববিদরা। এ সময় গবেষকেরা নতুন তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছিলেন। তাঁদের মতে, প্রকৃতিতে এমন কিছু খারাপ উপাদান রয়েছে, যার কারণে অটিজম সৃষ্টি হতে পারে। গবেষকেরা দায়ী করলেন ‘থায়োমারসাল’ নামের পারদভিত্তিক একটি উপাদানকে। এ ছাড়া সে সময় টিকা দেওয়ার কারণে এ রোগটি হতে পারে—এমন তত্ত্বও দাঁড় করিয়েছিলেন গবেষকেরা। তত্ত্ব উদ্ভাবনের সময় গবেষকেরা প্রকৃতিতে, খাবারে, ওষুধে বিভিন্ন রাসায়নিকের উপস্থিতি দেখে ধারণা করেছিলেন যে রাসায়নিকের বিষক্রিয়ার কারণেও অটিজমের তৈরি হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিষাক্ত রাসায়নিকের কারণে অটিস্টিক শিশুর জন্ম হচ্ছে—এমন ধারণাই পোষণ করছিলেন গবেষকেরা। এ নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। ...............