দীপ্তি
প্রশ্ন করেছেন
ছোট ছোট ছড়া আর রুপকথা ধরনের বই কিনে দেয়া যায়। সেগুলো কিছুটা পড়ে শোনাতে হবে আর বাচ্চাকেও পড়ে শোনাতে বলতে হবে। কখনও না শুনিয়ে নিজে নিজে পড়তে বলে তার কাছ থেকে গল্পটা জানতে চাওয়া যায়, তাতে সে নিজের মত করে প্রকাশ করতেও শিখবে। কমিক ধরনের রঙিন ছবিওয়ালা বই পড়তে আগ্রহ বাড়াতে পারে। বড়দের দেখেরি মুলত ছোটরা শিখবে তাই বাচ্চাটির আশপাশের মানুষদেরও তার সামনে পড়বার অভ্যেস থাকলে ভাল। বাবুকে বই হাতে ধরিয়ে অভিভাবক অন্য কিছুতে ব্যস্ত হবার চাইতে তার সাথে বসে অন্য কিছু পড়লেও ভাল। জোর করে কোনো কিছু পড়তে বাধ্য করা কখনই ঠিক নয়। এতে পড়বার প্রতিই বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হতে পারে। কোনোটা পড়তে না চাইলে সাথে সাথে তাতে সায় দিয়ে অন্য কিছু দিন। গল্প না ছাইলে চড়া, রুপকথার বদলে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো শিশুতোষ লিখা...... এখন বাচ্চাদের জন্যে প্রচুর লিখালেখি হচ্ছে। বাধ্য না করে বিভিন্ন ধরনের বই কিনে দিয়ে, পত্রিকার ছোটদের পাতা পড়তে দিয়ে খেয়াল করা উচিৎ বাচ্চাটি কোন বিষয়টিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সেই সম্পর্কে আরও পড়বার সুযোগ দিয়ে কিছুটা অভ্যেস গড়ে উঠলে তখন অন্যান্য বইও পড়তে পরামর্শ দেয়া যায়।
এটা আমারও খুব কষ্ট . আমার বই পড়ার সাংঘাতিক নেশা অথচ আমার মেয়ে গল্পের বই কখনো ধরবে না. তবে আমার আট বছরের ছেলে বইয়ের পোকা . হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পর থেকে আমার মেয়ে গল্পের বই পড়া ছেড়ে দিয়েছে. আমার মনে হয় বাসায় টিভি বন্ধ করে দিতে পারলে বাচ্চারা বই পড়বে. আপনি আজকেই টিভি র বন্ধ করে বাক্সে তুলে ফেলুন বাসায় অনেক শান্তি পাবেন. তবে আপনি থাকতে পারবেন তো টিভি ছাড়া?


আমার বাবা আমাদের অনেক বই কিনে দিতেন। যখন আমি পড়া শিখিনি তখন থেকে। আমি শুধু ছবি দেখতে পারতাম। আমার বাবা এবং দুই বোন পড়ে শুনাতো। যখন বানান করে পড়তে শিখলাম তখন থেকে নিজে নিজেই পড়ার চেষ্টা করতাম। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বইগুলো আমার হাতে দেয়া হতো।
বাচ্চাদের প্রচুর বই কিনে দিন এবং পড়ে শোনান। তাহলে বাচ্চারা বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হবে। বাচ্চাদের বই বাছাই একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমার সৌভাগ্য যে আমি প্রচুর রাশিয়ান বই হাতে পেয়েছিলাম।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে জোরে জোরে বাচ্চাদেরকে বই পড়ে শুনান। বাচ্চাদেরকে জোরে জোরে বই পড়ে শুনালে তারা সহজে শব্দ, ক্রিয়া শব্দ এবং বাক্য শিখতে পারে। এছাড়া আপনার কণ্ঠ থেকে ভালোবাসাও অনুভব করতে পারবে বাচ্চারা। বাচ্চারা মনে করবে যে, আপনার কাছে সে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে যেসব বাচ্চা বই থেকে যথেষ্ট পাঠ শোনেনি বা নিজেরা পড়েনি, তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে বই পড়তে আগ্রহী হয় না। এটা তাদের পরবর্তী শিক্ষাজীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বই পড়ার সময় আপনি যদি ভালোভাবে খেয়াল করেন, তাহলে আপনি উপলব্ধি করতে পারেন যে, বাচ্চাদের চোখ আনন্দে চিক চিক করছে। তাহলে আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে, বাচ্চাদের কী ধরনের বই পড়ে শুনাবেন? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে-কোনো ধরনের বই পড়ে বাচ্চাদের শোনানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্য লিখিত বইই সবচে ভালো। যে-কোনো বই পড়ে শুনাতে পারেন বাবা-মা। রাস্তার শ্লোগান, টেলিফোন নম্বর, পোস্টকার্ডসহ সবধরণের তথ্য বাচ্চাদের পড়ার অভ্যাস গঠনে অনুকূল হয়। কিন্তু বিস্ময়কর গল্পের বই তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো। গল্পের বইয়ে থাকে সহজ ব্যাকরণ। সেজন্য সে বইগুলো পড়ার সময় মনোযোগ দিতে হয় বেশি। যেমন, যখন চোর গোপনে বাড়িতে ঢুকতে যাচ্ছে, তখন আপনি এ দৃশ্য বর্ণনা করবেন ফিস ফিস করে। বজ্রপাতের কোনো দৃশ্যের বর্ণনা অবশ্যই জোরে জোরে পড়তে হবে। দৃশ্য অনুযায়ী পড়ার ভঙ্গি ও সুর পরিবর্তন করলে, বাচ্চাদের গল্প শোনার আগ্রহ বাড়বে। এক বছর পর বাচ্চা আপনার পড়া শব্দ মুখস্ত করতে আগ্রহী হয়। বারবার এক বই পড়া খুব ভালো ধারণা। অবশেষ বাচ্চারা বইয়ের মধ্যের শব্দ এবং এ-গল্প মুখস্ত করতে শুরু করতে পারে। যার মানে বাচ্চাদের জীবনে বই পড়ার প্রক্রিয়া শুরু।

প্রথম কথা এই প্রথম আপনার একটা প্রশ্ন দেখে আমার হাসি আসল...হাহাহাহাহাহাহা...তবে আমারতো কত কিছুতেই হাসি পায়...মাইন্ড খাইলে আপনার দোষ...এবার প্রশ্নে আসি... আজিব রে ভাই,বাচ্চা যদি গল্পের বই না পড়ে তারে দিয়া জোর করে পড়ানোর কি আছে?তাই আমার জান গেলেও এত সদুত্তর দিমু না...আসলে আমার জানা নাই কিভাবে ইচ্ছার বাহিরে কোনকিছু করানো বা করতে হয় কিভাবে?হাহাহাহা...আর যদিওবা জানতে পারি,তা নগদেই এড়িয়ে যাই।যদি গল্পের বইয়ের প্রতি আর আকর্ষণ সৃষ্টি হবার মত গুণাবলী বাচ্চাটির মধ্যে থেকেই থাকে তাহলে তা আপন গতিতেই হোক,আপনি চেষ্টা করে কি করবেন?আপনার মাতাপিতা বা ওয়েলউইসার হিসাবে যা করার তা তো করেছেনই,তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বইয়ের জগতের সাথে।বাকিটা তার উপর ছেড়ে দেন।গরম জিনিসে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে এটা একটা বাচ্চাকে আপনি সারাদিন বুঝালেও সে হাত দেবেই কিউরিয়াস হয়ে,তবে যেদিনই সফলভাবে হাত দেবে এবং পুড়ে যাবে বা ব্যাথা পাবে আর তাকে তখন বোঝাতে হয় না।আমরা বড় হয়েও কি আর তার থেকে খুব আলাদা কিছু হয়েছি?তাহলে ধাক্কা খেয়ে পাক্কা হয় কথাটা আসলো কিভাবে...হাহাহাহাহাহা... ভাল থাকবেন।আশা করি উত্তর পাননি তবে সমাধান পেয়েছেন...

ভালো মানের সুন্দর ছবিসহ বই দিতে হবে. মাঝে মাঝে কোনো বই এর গল্পটা বললে শিশুরা পড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠে .

শিশুকাল থেকে মা বাবাকে গল্প কবিতা পরে সোনাতে হবে | বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরী করতে হবে | শুধু বই নয় | বেড়াতে নিয়ে যাওয়া | শিশুকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞস করার মাধ্যমে জ্ঞান আরোহনের আগ্রহ বর্দ্ধি করাতে হবে | শিশুকে তাদের নিজেদের মতন করে জানতে বুঝতে সমবয়সীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করতে দিতে হবে | বিষয় ছুড়ে দিতে হবে যা নিয়ে সে ভাবতে পারে | প্রশ্ন জিজ্ঞস করতে হবে ইটা কি ওটা কেন | বড়রা কেউ যেন ইটা জানিসনা ওটা শুনিসনা না করে | তাদের সামনে কারুর সম্পর্কে সমালোচনা করা যাবে না | তাকে বুঝতে দিতে হবে সে কন্ত ঠিক বা ভুল বলবে | তবেই বড় হয়ে শুধু গল্প বই নয় ,সঠিক বিচার করতে শিখবে |
