সব মানুষের মাঝে রয়েছে সম্ভাবনা...তাই স্বপ্ন দেখি অহর্নিশ
গরুর মাংসের তেহারি রেসিপি
চিনি গুঁড়া চাল ১ কেজি, গরুর মাংস ২ কেজি, ঘি ৫০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, গুঁড়ো দুধ ৪ টেবিল চামচ, এলাচি ৩টি, দারুচিনি ৩টি, লবঙ্গ ২-৩টি, জয়ফল একটির চার ভাগের এক ভাগ, জয়ত্রী ১ গ্রাম, তেজপাতা ২-৩টি, পেঁয়াজের কুচি ও বাটা মিলে আধা কেজি, চিনাবাদাম ৬টি, পোস্তদানা ১ চা-চামচ, কিশমিশ ৬টি, আদা বাটা পরিমাণমতো, গোলমরিচ পরিমাণমতো ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি:
দুই কেজি গরুর মাংস কেটে ধুয়ে তাতে তেল, লবণ, পেঁয়াজ বাটা ও কুচি আধা কেজি দিতে হবে। এরপর তাতে আদা বাটা, দারুচিনি, লবঙ্গ দিন। জয়ফল, জয়ত্রী, চিনাবাদাম ও পোস্তদানা একসঙ্গে বেটে মাংসে মাখিয়ে নিন। চুলায় কড়াইয়ে মাংস বসিয়ে দিন। সেদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনে পরিমাণমতো পানি দিন। তবে মাংস যেন ঝোল না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
আরেকটা পাত্রে তেল ও ঘি, তেজপাতা, এলাচি, লবঙ্গ ও লবণ দিন। এতে ধোয়া চাল হালকা ভেজে নিন। ১ কেজি চালের জন্য দেড় লিটার পানি সেদ্ধ করে নিন। এই পানি চালের পাত্রে দিন। এতে ৪ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ দিয়ে নাড়ুন। পানি শুকিয়ে এলে পোলাও অল্প আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। নামিয়ে পরিবেশনের সময় প্রথম স্তরে পোলাও দিন। এর পরের স্তরে গরুর মাংস দিন। এভাবে পরপর কয়েকটি স্তরে পোলাও ও গরুর মাংস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। চাইলে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে চারপাশে ছিটিয়ে দিন।
উপকরণঃ
– পোলাউ চাল, ২ কেজি
– মাংস, ২ কেজি
– আলু, হাফ কেজি
– পেঁয়াজ কুঁচি, এক কাপ
– আদা বাটা, দুই টেবিল চামচ
– রসুন বাটা, দুই টেবিল চামচ
– জিরা গুড়া, ১ চা চামচ
– কাঁচা মরিচ বাটা, দুই চা চামচ
– গোল মরিচ বাটা, আধা চা চামচ (ঝাল বুঝে)
– জয়ত্রী বাটা, হাফ চা চামচ
– জয়ফল বাটা, এক চিমটি
– বাদাম বাটা, হাফ কাপ
– গরম মশলা (এলাচি কয়েকটা, দারুচিনি কয়েক পিস)
– লবন, পরিমান মত
– চিনি, এক চা চামচ
– কিসমিস, এক টেবিল চামচ
– ভিনেগার, এক চা চামচ (এখানে ভিনেগারের বদলে এক কাপ টক দই ব্যবহার করতে পারেন)
– দুধ, ঘন এক কাপ
– কয়েকটা আস্ত কাঁচা মরিচ
– তেল, দেড় কাপ কম বেশি
– পানি
প্রস্তুত প্রনালীঃ
হাড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি ভেঁজে তাতে গরম মশলা (এলাচি, দারচিনি) এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাল করে ভাঁজুন। এক চা চামচ লবন দিতে ভুলবেন না এবং শেষে এককাপ পানি দিয়ে প্রাথমিক ঝোল বানিয়ে নিন।
উপকরনে উল্লেখিত বাকী সব মশলাপাতি দিয়ে দিন (চিনি সহ) এবং ভাল করে কষাতে থাকুন।
তেল উপরে উঠে এসে এমন চেহারা দাঁড়িয়ে যাবে।
বটি করে কাঁটা মাংস (তেহারীর মাংস যেমন জানেন) মশলায় দিয়ে দিন এবং এক চামচ ভিনেগার দিয়ে দিন।
ঢাকনা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মাংস নরম হয়ে যাবে, যদি নরম না হয় তবে আরো কয়েক কাপ পানি লাগলে দিতে পারেন।
এবার মাঝারি আলু গুলো কেটে দিয়ে দিন।
আরো কিছু পানি দিয়ে আলু গুলো ডুবিয়ে দিন এবং আলু মাঝারি সিদ্ব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এবার চাল দিয়ে দিন (চাল আগে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন) এবং চাল দেখা যায় এমন পরিমান মত পানি দিন (মানে চালের উপরে এক ইঞ্চি পরিমান পানি থাকতে হবে)
আরো কিছু কাঁচা মরিচ দিন এবং ফাইন্যাল লবন দেখুন। পানি কটা হতে হবে।
এবার এক কাপ দুধ দিন।
এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১০/১৫ এর জন্য মাঝারি আঁচে রেখে দিন, মাঝে মাঝে ঢাকনা উলটে দেখে ও নাড়িয়ে দেবেন।
এমন চেহারায় এসে যাবে। চাল নরম হল কি না দেখে নিন। (সামান্য শক্ত থাকলে হাড়ির নিচে তাওয়া দিয়ে দমে রাখুন, এতে পুড়ে যাবার ভয় থাকে না আর চাল বেশি শক্ত থাকলে সামান্য পরিমান গরম পানি ছিটিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে দমে রাখুন)
ঝরঝরে এমন তেহারী হতে সময় লাগবে না। ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
প্রতিবেশীদের না বিলিয়ে একা একা খাওয়া চলে না। ভাল কিছু রান্না হলেই প্রতিবেশীদের সাথে ভাগ বাটোয়ারা করা উচিত। আমাদের বাড়ীওয়ালা ভাবী প্রায় আমার ছেলের জন্য রান্না করা খাবার পাঠায় (বরঞ্চ আমরাই কম পাঠাই)। এটাও এক ধরনের মায়া, ভালবাসা – দুই দিনের এই দুনিয়াতে আর কি আছে! ধন্যবাদ।