দীপ্তি
প্রশ্ন করেছেন

প্রথম আলোতে পাওয়া একজন নার্সারির বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, এ সময় গাছের গোড়ায় পুরো স্তর করে নারকেলের ছোবড়া বিছিয়ে বেশি করে পানি দিন। এটি বেশি পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে, ফলে গাছ তার প্রয়োজনমতো পানি শোষণ করে নিতে পারে। আবার পানি বা কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভর্তি করে ওপর থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। পানিভর্তি সেই বোতলের নিচের অংশে সরু সুই দিয়ে সূক্ষ্ম ছিদ্র করে দিন। এমনি করে একটি বোতলের পানি শেষ হতে প্রায় তিন-চার দিন সময় লাগবে, ফলে গাছ সহজে খাদ্যের অভাব বোধ করবে না। আর ফিরে এসে তো পানি দিচ্ছেনই।
কোকমাস বা নারকেলের ছোবড়া ছাড়াও গাছের গোড়ায় পানি ধরে রাখতে এখন পাওয়া যায় পোড়া মাটির তৈরি মার্বেল আকৃতির ছোট গোলাকার বল। নাম হাইড্রোজেন, কেউ আবার হাইড্রোপলিক বিড হিসেবেও চেনেন। এরপরও যদি কেউ গাছের যত্নের ব্যাপারে নিশ্চিত না হতে পারেন, তবে গাছগুলো সব পৌঁছে দিতে পারেন আগারগাঁওয়ের গ্রিন সেভারস নার্সারিতে। আপনি না থাকার দিনগুলোতে বিনা মূল্যে গাছগুলো দেখভাল করবে গ্রিন সেভারস। এর চেয়ে ভালো উদ্যোগ আর কি হতে পারে।


গাছে ভালো মতো পানি দিয়ে তারপর তার উপর নিউজ পেপার কুঁচি দিয়ে তারপর তার উপর পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিন তবে পলিথিন এ কয়েকটা ছিদ্র করে দিতে হবে. তবে যদি অনেকদিনের জন্য যান তবে একটু টাকা খরচ করতে হবে, বাবুদের প্যাম্পার্স কিনে তা অনেক পানিতে চুবিয়ে রাখুন এর পর ফুলে গেলে প্যাম্পার্স কেটে জেল গুলো বার করে গাছের মাটির উপরে দিয়ে আবার ভালো মতো পানি দিন তার উপর পলিথিন দিন. এভাবে আনুমানিক দুই সপ্তাহ গাছ ঠিক থাকবে.

কোথাও বেড়াতে গেলে যাওয়ার দিন টবের গাছে পানি দিন। তারপর বড় পলিথিন ব্যাগের মধ্যে গাছ রেখে গোড়ার কাছে হালকা করে বেঁধে দিন। সরাসরি রোদ আসবে এমন স্থানে গাছ রেখে যাবেন না। পথিলিন ব্যাগে গাছের গোড়ায় ময়েশ্চার বজায় থাকবে। আর যাবার ২ দিন আগে থেকে বিকেল এ আস্তে আস্তে সারাদিন পানি দিতে দিতে কদাকার করুন। ৭/৮ দিন উপড়ের পন্থা অবলম্বন করলে গাছ ভাল থাকবে।
