

উত্তর: গর্ভাবস্থায় কখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন তা অনেকেই জানেন না আবার পরীক্ষা করতে হবে জানলেও ঠিক কখন করতে হবে তা জানেননা. যাইহোক, যখনি জানবেন কেউ গর্ভবতী হয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই মায়েদের একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে পাশাপাশি গর্ভকালীন ২৪-২৮ সপ্তাহের সময়ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যাদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয় তাঁদের সন্তান প্রসবের ৬-১২ সপ্তাহ পর আবার পরীক্ষা করতে হবে। মনে রাখবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার নিয়মিত "ব্যয়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, প্রয়োজনীয় ঔষধ."
বিশ্বের সকল মা ও শিশুরা থাকুক সুস্থ ও সুন্দর ........................

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মানে এই মায়ের আগে ডায়াবেটিক ছিল না। এটি ধরা পড়েছে যখন সে গর্ভবতী তখন। সেখানে যদি না খেয়ে বা ফাস্টিং রক্তের সুগার ছয়ের ওপরে চলে যায়, খালি পেটে এবং খাওয়ার দুই ঘণ্টা পড়ে রক্তের শর্করা যদি ৭ দশমিক ৮ মিলিমোল কিংবা তারও ওপরে যায়, তাহলে এই মাকে কিছু গ্লুকোজ খাইয়ে নিয়ে এর পর আবার পরীক্ষা করে দেখি। অনেক হসপিটালে খালি পেটে একবার ও গ্লুকোজ সেবনের ঠিক দুই ঘন্টা পর পুনরায় রক্ত গ্রহণ করে এ পরীক্ষাটি করা হয়ে থাকে। এই ডায়াবেটিস এ কারণেই আমার জানা দরকার যে, এর কিছু প্রভাব বাচ্চার ওপরে আর কিছু মায়ের ওপরে পরে। কারণ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস যদি থাকে, এটা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, এটা একটি অস্বাভাবিক শিশু হতে পারে। তার গঠনগত অস্বাভাবিকতা হতে পারে। এমনকি বাচ্চাটা মরে যেতে পারে। তার একটি অঙ্গহানি হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের বিষয়গুলো বাচ্চার ক্ষেত্রে হতে পারে। মা যখন গর্ভাবস্থায় থাকে, শুরুতেই তার রক্তের কিছু পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো ডায়াবেটিসের পরীক্ষা। প্রতিটি রুটিন চেকআপের মধ্যে তার কিন্তু প্রসাবের পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে একটি ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি রুটিন চেকআপের মধ্যে তার প্রস্রাবের পরীক্ষাটাও হয়ে যায়। নিজের পরিবারের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, গর্ভধারণের ৬-১২ বা ৬-১৬ সপ্তাহের মধ্যে আমরা এ পরীক্ষাটি করেছিলাম, ডাক্তার এ ক্ষেত্রে কোন নিগেটিভ মন্তব্য করেননি।
