
বিভিন্ন কারণে শিশু অ্যাগ্রেসিভ আচরণ করতে শুরু করে। এর মধ্যে দুটি কারণই প্রধান যেমন : ১. জেনেটিক ২. পরিবেশগত। এছাড়া অনেক সময় বাবা-মা সন্তানের সামনে ঝগড়া-বিবাদের কারণেও শিশুদের মনে চাপা ক্ষোভ জমে, আর এটা প্রকট হলে এক পর্যায়ে শিশুরা অ্যাগ্রেসিভ হয়ে ওঠে।
শুধু তাই নয়, শিশু জেদি হয়ে ওঠার পেছনে আরো অনেক কারণ আছে:
* নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা বা চাহিদা অন্যকে ঠিকমতো বোঝাতে না পারা।
* শিশুরা আত্মবিশ্বাসের অভাবে অ্যাগ্রেসিভ হয়ে ওঠে।
* অ্যাগ্রেসিভ বাচ্চাদের সঙ্গে মেলামেশা করলেও তাদের মতো আচরণ করার চেষ্টা করে অন্য শিশুরা।
* টিভি বা কম্পিউটার গেমসের প্রভাবেও শিশু অ্যাগ্রেসিভ হতে পারে
শিশুরা অ্যাগ্রেসিভ হলে মা-বাবার উচিত ঠাণ্ডা মাথায় ও যুক্তিসহকারে সন্তানকে বোঝানোর চেষ্টা করা। প্রতিদিন কিছুটা সময় বের করুন শুধু সন্তানের জন্য। মনে রাখবেন মা-বাবার নিজেদের মধ্যে অশান্তির প্রভাব থাকলেও সেটা সন্তানের ওপর পড়তে দেবেন না।আপনাদের দুজনের প্রভাব যেন ওর ওপর সমানভাবে পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখুন। এভাবেই ও একজন সমৃদ্ধ মানুষ হিসেবে বড় হয়ে উঠবে।

কোন বাচ্চা দের আচরণ এধরনে হবেই বলেই তো তারা 'বাচ্চা' নামে পরিচিতি লাভ করেছে তাইনা?
কথাটা হয়তো একটু শক্ত ঠেকছে আপনাদের কাছে একটু সহজ করে দেওয়া যাক এবার-----
একটা শিশুর শিশুসূলভ আচরনই হবে এরকম যে বাচ্চা টি চঞ্চল, তার ভিতরে মনোমুগ্ধকর কিছু দেখলে সেটা কাছে পাওয়ার বাসনা থাকা, সময় মত খেতে না চাওয়া, খেলাধুলার প্রতি বাড়তি চাহিদা থাকা,পড়তে না চাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি ,,,,
অর্থাৎ আমাদের চোখে যেগুলো ন্যাচারাল বিষয় সেগুলো কে এড়িয়ে ওর যা ভাল লাগবে সেটা নিয়েই মত্ত থাকবে এটাই একটা বাবুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাস্তবতা,,,,,,
তবে হ্যাঁ, কিছু বিষয় থাকে যেগুলো পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত। বিশেষ করে ওর আশেপাশের দৈনন্দিন জিবন অতিবাহিত করে যারা তাদের অনেক আচরন ও কার্যাবলী ওর মনের ভাবধারাকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এবং ওর মানবিক বিকাশে বাঁধা প্রদান করতে পারে,,,,এ ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। ও যাদের কে বেড়ে ওঠার সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছে তাদের চরিত্রগত অনেক বিষয়াবলীই কিন্তু ওর ভিতরে একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলবে। সুতরাং ওর সামনে আপনাদের (স্বামী-স্ত্রী) দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে রাগারাগি করবেন না সংসারের সবাই সবার সাথে খুব শান্ত ও ভদ্র আচরন করুন বিশেষ করে ওর সামনে তো অবশ্যই। কেননা শিশুরা অনুকরণ প্রিয় ও রা দেখেই সব শিখে নিতে থাকে। অতএব,,,,,
--->ও যা যা পছন্দ করে সাধ্যমত দেওয়ার চেষ্টা করুন। --->ওর সাথে কোন কারনেই রাগ করবেন না বোঝাতে চেষ্টা করুন কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ।
---> কোন কিছু করতে বাধ্য করবেন না ওকে নিজে থেকে উপলব্ধি করতে শেখান ওর কি দরকার ।
সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সেটা হলো ও আসলে কি পছন্দ করে আর কি করেনা সেটার দিকে গুরুত্ব দেয়া,,,
ও যদি খুব বেশিই অ্যাগ্রেসিভ হয়ে ওঠে তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পারেন,
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চা দের অ্যাগ্রেসিভিটি নিয়ে ঘাবড়ে যাওয়ার আবশ্যকতা নেই।
বয়স বাড়ার সাথে সাথেই ওর ভিতরের মানবিকতার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হতে থাকবে,,,
আপনার আজকের সোনামনিকেই দশ বছর পর আপনিই বলবেন খোকা তুই যা দুষ্টু ছিলিস ছোট বেলায় আর আজ তুই কত্ত ভদ্র ও শান্ত।
তবে হ্যাঁ শেষ করবার আগে আরেকটা কথা ----
বড় হওয়ার সাথে সাথে খুব বেশি স্বাধীনতা ও কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে।
তাই খেয়াল রাখুন আপনার সন্তান কি করে কোথায় যায়।


‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’ এই মর্মবাণীটির অর্থ আমরা প্রাপ্ত বয়স্করা বুঝতে পারি, কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক রাগী শিশু সন্তানটিকে কীভাবে বোঝাবেন? এমন অনেক শিশুই দেখা যায় যাদের অনেক বেশি রাগ হয়ে থাকে। হতে পারে তারা এই বিষয়টি বংশগতভাবে পায়, কিংবা পারিবারিক কোন কারণ। যার ফলে রাগের বশে কোনো কিছু ভেঙে ফেলা, কাউকে মারা, চিৎকার করে কান্না করা ইত্যাদি এই ধরনের কাজগুলো করে থাকে। সন্তানের অপ্রত্যাশিত এমন ভয়ংকর রাগ কমাবেন কী করে? জেনে নিন এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন। ১. বাচ্চারা অনেক বিষয় নিয়ে জেদ করে রাগারাগি করে থাকে। আপনি মাঝেমাঝে এসব অবাঞ্চিত রাগের তোয়াক্কা করবেন না। সন্তানের কান্না বা চিৎকার কারোরই দেখতে ভালো লাগে না। কিন্তু সন্তানের ভালোর জন্যই মাঝেমাঝে ওর জেদের বা রাগের মূল্যায়ন করবেন না। এভাবে কিছুদিন করলে ও বুঝতে পারবে যে আসলে এসব করে কোনো লাভ নেই। ২. অতিরিক্ত রাগের বশে সন্তান কিছু ছোঁড়াছুড়ি করলে করলে তার হাতের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে রাখবেন এবং তার রাগ হওয়াকে দেখেও না দেখার ভান করবেন। তবুও বাচ্চার গায়ে কখনও হাত তুলবেন না বা বকাবকি করবেন না। এভাবেই ও একসময় বুঝতে পারবে যে আসলে রাগে কোনো সমাধান নেই। ৩. সন্তানকে অনুভূতিগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত করার চেষ্টা করুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে রাগারাগি করা একটা বাজে ধরনের অভ্যাস যা মানুষের অনেক ধরনের ক্ষতি করে। তার মনে রাগারাগি সম্পর্কে একটা ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারেন। অনেক কাল্পনিক গল্প বলে বুঝিয়ে দিতে পারেন। এই পদ্ধতিটি বেশি কাজে দিতে পারে। ৪. রাগী সন্তানের বাবা মা হিসেবে আপনাদেরও মূখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। সন্তানের সামনে এমন ধরনের আচরণ একেবারেই করবেন যা সন্তানরা দেখে দেখে শিখে। শিশুরা অনুকরণপ্রিয় হয়ে থাকে। তাই বাবা মা হিসেবে আপনাদেরও এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ৫. বাচ্চার রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করুন। বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলুন। কোনো কিছু নিয়ে জিদ করলে অন্য কিছু দিয়ে মন ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। অথবা রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যাকে সে ভয় পায় তার কথা বলুন যে এমন করলে তিনি এসে বকবেন। তবে খেয়াল রাখবেন বিষয়টি নিয়ে বাচ্চারা যেন একেবারে ভয় না পায়।
সন্তানকে বলুন চুপ করে থাকতে এবং যতোক্ষন সে নিজেকে শান্ত করবেনা সে কথা বলতে পারবেনা কারও সাথে। শাস্তি হিসেবে না বরং চুপ করে নিজেকে শান্ত করার সময় দিন।
তাকে নিরাপদ কোনো জায়গায় বসিয়ে দিন। যতক্ষণ শান্ত না হবে সেখান থেকে উঠতে পারবেনা বলে দিন।
বলে দিন আপনি তা কোনো কথা শুনবেন না যদি সে শান্ত হয়ে ভালোভাবে কথা না বলে।
বাচ্চা শান্ত হলে তার কথা মন দিয়ে শুন।
যা চায় তা কেন দেয়া যাবেনা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন।
নিজের কথায় অনড় থাকুন।
কখন বুঝবেন একজন প্রফেশনাল এর সাহায্য নেয়া উচিৎ
আপনার শান্ত করার চেষ্টা কাজে লাগছে কিনা দেখুন। যদি না লাগে তবে প্রফেশনালের সাহায্য নিন।
পরিবেশের কারণে বাচ্চা জেদি হচ্ছে কিনা দেখুন। এক্ষেত্রে কিভাবে কি করা যায় তা একজন প্রফেশনালের সাথে আলাও করুন।
সাধারণত বাচ্চারা ঠিকমতো মনের কথা বুঝাতে পারলে এই কান্নাকাটি কমে যায় বয়সের সাথে। কিন্তু যদি তা না কমে বয়সের সাথে বাড়তে থাকে তবে বুঝতে হবে অবশ্যই কোনো সমস্যা আছে এবং ট্রিটমেন্ট দরকার।

সব বাচ্চারাই একটা সময় কম/বেশী aggressive - আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে - আর এই আচরণটি আমরা যারা তাদের চারপাশে (বয়স্করা) রয়েছি তারাই অবচেতনভাবে তাদের শিখিয়ে দেই বা প্ররোচিত করে থাকি! তাই # প্রথমেই আমাদেরকে এই আক্রমণাত্মক আচরণটি তাদের সামনে করা থেকে বিরত থাকতে হবে! # তারা কোন কারণে যখন এমন আচরণ করতে থাকবে,, বিনা প্রয়োজনে সেদিকে কর্ণপাত না করাই ভালো! কারণ এটা নিয়ে বড়রা বেশী বাড়াবাড়ি করলে বাচ্চারা এক ধরণের মজা পায় এটা ভেবে যে ওদের এই আচরণটা নিয়ে আমরা খুব বিব্রত বা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি,, তাই সময় সুযোগ বুঝেই ঐ আচরণটি বেশী বেশী করতে থাকবে! # মনে রাখতে হবে ওদের আক্রমণাত্মক আচরণের জবাবটা যেন আমরা আক্রমণাত্মক আচরণের মাধ্যমেই না দেই! # বরং বাচ্চারা যখন শান্ত থাকবে এবং বাবা মায়ের সাথে যখন খুব খোশ মেজাজে থাকবে তখন খুব শান্তভাবে আদর করে ভালবেসে তাদের এ ধরণের আচরণের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বললে ভালো ফল পাবে আশা করি! তাদের ভালো সঙ্গী সাথী নির্বাচনের বিষয়টিও বড়দের সজাগ দৃষ্টি রাখা একান্ত অপরিহার্য বলে মনে করি!
সুস্থ থেকো, ভালো থেকো নিরন্তর............. ধন্যবাদ দীপ্তি:)

বাচ্চারা সাধারনত একটু দুস্ট হয়ে থাকে,এতে ভয়ের কিছু নাই,একদিক থেকে চিন্তা করলে ভালয়,কারণ বুদ্ধিমান বাচ্চাগুলো একটু বেশি দুস্ট হয়।বড় হওয়ার সাথে সাথে এরা কুল হতে থাকে।আমার ছোট ভাই ছিল অনেক বেশি দুস্ট, ওর অত্যচারে সবাই অতিষ্ট ছিল।কিন্তু আসতে আসতে বড় হওয়ার পর পরিবর্তন শুরু হল আর শান্ত হতে লাগল,আর সে এখন অনেক বেশি শান্ত শিষ্ঠ।তবে বাচ্চারা অনেক সময় দুষ্টামি করতে গিয়ে অনেক বড় বড় ভুল করে ফেলে,সেসব ব্যাপারে তাদের ভালভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে,মার-ধর করা যাবে না,এতে করে বাচ্চার মনে বিরুপ প্রভাব পরে,বাচ্চাকে ভাল ভাবে খেলার ছলে বুঝিয়ে দিতে হবে কোনটি ভাল আর কোনটি খারাপ।আশা করি বুঝতে পারছেন।

বাচ্চা দের অ্যাগ্রেসিভনেস সময়ের সাছে কমে যায় কিন্তু তার জন্য় কিছু ব্য়াবস্থা নিতে হবে , যেমন কোন ভাবে অনেক শাষন বা অদর কোন টাই করা যাবেনা । কোন কিছুর জন্য় জেদ করলে শাষন নাকরে তাকে কিছু সময় একা ছেরে দিন , কান্না করলে বুকে জরিয়ে সান্তনা দিন । তার বয়স যদি ২-৩ বছর হয় ও তার কোন ছোট ভাই বা ভোন থাকে , তবে তার দিকে বেশি খেয়াল দিতে হবে কারন তখন সে তার ভাই বা ভোন কে প্রতিধন্ডি মনে করে । মাঝে মাঝে তাকে তাদের দ্য়ায়িত্ব দিন যাতে সে তাদের প্রতিধন্ডি থেকে প্রতিনিধি তে পরিনিত হবে ।

- সবচেয়ে ভালো সমাধান পাবেন মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী থেকে ।
- দার্শনিক প্লেট শিশুদের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছেন পারলে দেখতে পারেন ।
- শিশুদের চাওয়া ছোটো দেওয়াও সহজ । তাই ইচ্ছে গুলো পূরণ করুন দেখবেন এক সময়ে আপনার আদেশ গুলোর প্রতি সম্মান প্রকাশ করবে । ধন্যবাদ ।

বাচ্চারা অ্যাগ্রেসিভ আচারণ করার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।
যেমন:
১। শারিরীক অসুস্থতা
২। তার চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় না হওয়া। যেমন: সে যেমনটা চেয়েছে তেমনটি পায়নি।
৩। তার চাওয়াগুলো ঠিক ঠাক প্রকাশ করতে পারছে না। যার ফলে অবিভাবক সে মত চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।
৪। এটা হতে পারে বংশগত কারণ সেটাও অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
আরও বিভিন্ন কারণে হয়তোবা বাচ্চারা অ্যাগ্রেসিভ হতে পারে। মনে রাখা ভালো খারাপ কিছূ করা বা খারাপ হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিন্তু ভালো হওয়ার বা ভালো করার একটা কারণই যথেষ্ট, আর সেটা হলো ভালো হতে হবে বা ভালো করতে হবে। একই জিনিস দিয়ে ভালো কিছু করাও যেমন যায় তেমনি খারাপ কিছু করাও যায়। পজিটিভ থিংকিং ইজ দ্যা বেস্ট ওয়ে।
যাই হোক বাচ্চাদের অ্যাগ্রেসিভ মুডের পরিবর্তন আনার জন্য পজিটিভ কিছু করা যেতে পারে। বড় হলে ঠিক হলে তো আলহামদুলিল্লাহ। তবে সেই আশায় বসে না থেকে চেষ্টা করা উচিত বলেই মনে করি। কারণ মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বলেছেন, যে যা আন্তরিতকা নিয়ে চেষ্টা করে সে তাই পাবে। আর প্রতিটি আন্তরিক প্রার্থনাই তিনি শোনেন। সুতরাং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার পাশাপাশি বাচ্চার অ্যাগ্রেসিভ মুডের পরিবর্তন আনার জন্য এমন কতকগুলি কার্যবলী হলো:
১। বাচ্চাদের বেশি করে সময় দেয়া।
২। সুন্দর জীবন-যাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভাসের সহিত বাচ্চাদের অভ্যস্থ করে তোলা। যেমন: সঠিক সময়ে খাওয়া-ঘুম-সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা এবং সঠিক সময়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠা।
৩। সুস্থ বিনোদন ও সুস্থ সংস্কৃতির সাথে বাচ্চাদের অভ্যস্থ করে তোল।
৪। বাচ্চাদের কে ইনডোর এ যাতে আবদ্ধ হয়ে না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখা।
৫। আজকাল দেখা যায়, বাচ্চারা মাঠে ফুটবল ক্রিকেট বাদে মোবাইল কম্পিউটারে বিভিন্ন গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। বাচ্চাদের আউটডোর গেম এর সাথে পরিচিত করে দেওয়া।
৬। অনেকেই আজ ইংলিশ বা হিন্দি গানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। তাকে এটা ভাবতে শিখাতে হবে যে এটা বৈদেশিক সংস্কুতি। সে যতই এসব গানের ভক্ত হয়ে ্ওঠুক না কেন, সেই সংস্কুতির তারকা হয়ে ওঠতে পারবে না। যেমনটা হয়েছিল আমাদের কবি মাইকেল মধূসুদন দত্তের ক্ষেত্রে।
সর্বোপরি বাচ্চাকে পজিটিভ থিংকিং এর ক্ষেত্রে অভ্যস্থ করে তুলতে হবে। যেমন: যে টাকা দিয়ে সিগারেট খাওয়া যায় সেই টাকা দিয়ে পুষ্টিকর খাওয়া যায়। যে বন্দুক দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করা যায় সেই বন্দুক দিয়ে সন্ত্রাসী ধরাও যায়।

সাধারণত দুই বছর বয়স থেকে কোনো কোনো শিশুর মধ্যে মারামারি, ঝগড়াঝাঁটি, জিনিসপত্র ভাঙা ইত্যাদি আক্রমণাত্মক ও ধ্বংসাত্মক মনোভাব দেখা যায়। শিশুর ক্রোধের কারণ ও প্রতিকারে করণীয় জানালেন সানশাইন চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ফারহানা আহমেদ....
এর কিছু কারণ:- সাধারণত শিশু তার শক্তি ও বাড়তি সামর্থ্যকে যদি কোনো গঠনমূলক কাজে ব্যয় করার সুযোগ না পায়, তখন সে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
# অনেক সময় হতাশা থেকেও শিশু এ রকম আচরণ করে। যেমন কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হলে এবং যা সে করতে চায় তাতে ব্যর্থ হলেও আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে।
# মা-বাবার অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ, তাঁদের পর্যাপ্ত স্নেহের অভাবে অনেক সময় শিশু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং আক্রমণাত্মক আচরণ করে।
# যেসব শিশু অবহেলিত ও অনাথ আশ্রমে লালিত, সেসব শিশুর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ বেশি দেখা যায়। তারা প্রথমেই আক্রমণকে আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ উপায় বলে মনে করে।
# অনেক সময় অতিরিক্ত ক্ষুধা থেকে বা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে শিশু আক্রমণাত্মক আচরণ করে।
# শিশুর বিভিন্ন চাহিদা পূরণ না হলেও তারা অনেক সময় আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
# যেসব শিশু প্রায়ই অসুস্থ থাকে তাদের মধ্যেও মাঝে মাঝে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখা যায়।
# পিঠাপিঠি ভাই-বোনের একে অপরের প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব থেকেও শিশু মাঝে মাঝে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
প্রতিকারে করণীয়:- প্রথমে মনে রাখতে হবে যে শিশুর প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা ও শাসনের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কোনোটাই মাত্রাতিরিক্ত করা যাবে না। পরিবারের একতা, মা-বাবার মধুর সম্পর্ক—শিশুর বেড়ে ওঠা ও আচরণের ক্ষেত্রে এসবের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
# যেসব শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধের অভাব নেই, তারা হতাশাকে দ্রুত আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারে। তাই শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে হবে।
# শিশুকে এসব ক্ষেত্রে মারধর করা যাবে না। তাতে ক্রোধ আরো বেড়ে যাবে। তাকে ভালোভাবে উপলব্ধি করাতে হবে যে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এ জন্য মা-বাবাকে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। উত্তেজনার মুহূর্তে স্থির থাকতে হবে।
# যখন শিশুর অন্যায় আবদার মানা সম্ভব হবে না, তখন তার মনোযোগ অন্যদিকে আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করুন।
# শিশুর এই আচরণ সমর্থন না করলেও আদর ও ভালোবাসা দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে দৃঢ় থাকুন ও হালকা শাস্তি দিন। শাস্তি অবশ্যই বয়স উপযোগী, সময়োচিত ও পরিমিত হতে হবে।
# শিশুকে এমন সব কাজে ব্যস্ত রাখুন, যাতে ওর শক্তি গঠনমূলক কাজে ব্যয় হয়। যেমন—ছবি আঁকা, নাচ-গান শেখা, দলবদ্ধভাবে ও নাটকীয় খেলাধুলায় অংশগ্রহণ, বাগান করা ইত্যাদি।
# ধৈর্যের সঙ্গে সঠিক উপায় অবলম্বন করলে শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণ দূর হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু নিজেও পরিপক্ব হয়ে ওঠে এবং বুঝতে শেখে ভালো ও মন্দ আচরণের তফাত।
ধন্যবাদ...
সূত্র: কালেরকণ্ঠ

এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারন নেই,বাচ্ছার শারীরিক ও মানসিকতা ঠিক আছে এটা সিউর থাকেন।সময়ের সাথে এটা পরিবর্তন হয়ে যাবে।এর জন্য বিশেষ কোনও ভাবনাচিন্তা না করাই ভাল।

সময়ের সাথে কারও কারও কেটে যায়। তাই বলে বাচ্চাকে সেই অবস্থায় থাকতে দেয়া যাবে না।
নানান কৌশলে বাচ্চাকে আপন করে, এগ্রেসিভ আচরণের ক্ষতি কি তা বুঝিয়ে তাঁকে ধীরে ধীরে এ স্বভাব থেকে মুক্ত করে আনতে হবে।


এটা কেটে যাযে

কেটে যেতে পারে আবার না ও যেতে পারে, তবে বাবা সন্তানের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।

- সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে
