

নায়ক রাজ রাজ্জাক অভিনিত অধিকাংশ সিনেমা আমার ভালো লাগে। ছোট বেলায় সিনামা দেখার খুব বাতিক ছিল। টেলিভিশনে তখন সিনেমা মানেই রাজ্জাকের সিনেমা, ভালো লাগাটা ঠিক তখন থেকেই। এখন পর্যন্ত তাঁর কোন সিনেমা দেখে খারাপ বোধ হয়নি। আমার দেখা নায়ক রাজরাজ্জাক অভিনিত প্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
কাগজের নৌকা, বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, আনোয়ারা, জুলেখা, দুই ভাই, আবির্ভাব, সখিনা, কুচবরন কন্যা, ময়নামতি, নীল আকাশের নীচে, জীবন থেকে নেওয়া, সমাপ্তি, মধুমিলন, টাকা আনা পাই, অধিকার, বড় বউ, নাচের পুতুল, স্বরলিপি, গাঁয়ের বধু, মনের মতো মন, সঙ্গীতা, ওরা ১১ জন, ছন্দ হারিয়ে গেল, অবুঝ মন, রংবাজ, আমার জন্মভূমি, অতিথি, বেইমান, ভাইবোন, অবাক পৃথিবী, মায়ার বাঁধন, অনন্ত প্রেম, যাদুর বাঁশি, অগ্নিশিখা, অলংকার, মাটির ঘর, ছুটির ঘন্টা, বৌ রাণী, নাগিন, রাজা সাহেব, আশার আলো, লাইলি মজনু, অভিযান, মায়ের আঁচল, সোনা বৌ, চোর, সৎভাই, ন্যায় বিচার, ঝিনুক মালা, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, যোগাযোগ, আগমন, বিরহ ব্যাথা, বাজিগর, জজ সাহেব, সবার উপরে মা, বাবা কেন চাকর, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, গুন্ডা, পিতার আসন।


চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলাম না এই ছবি দেখে। আমার দেখা প্রিয় ছবি ‘বাবা কেন চাকর‘।
নব্বইয়ের দশকের শেষভাগ। ঢাকাই চলচ্চিত্রে তখন ধীরে ধীরে ঢুকতে শুরু করেছে অশ্লীলতার দূষিত স্রোত। রাজ্জাক-কবরীদের যুগ তখন অতীতের গল্পগাথার মতোই শোনায়। এরপরও ওপারের জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিতকে নিয়ে তিনি উপহার দিলেন এমন এক চলচ্চিত্রের, যার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর পারিবারিক মূল্যবোধ উঠে এলো বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের মূল বিষয় হিসেবে।
রোমান্স আর অ্যাকশনের চর্বিতচর্বন ছাপিয়ে বহুদিন পর ঢাকাই ছবির দর্শক এই ছবির মাধ্যমে পেয়েছিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখার আনন্দ। অমিত হাসান, বাপ্পারাজদের মতো তরুণদের ছাপিয়ে সিনেমাটির সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছিলেন রাজ্জাক একাই। নব্বইয়ের শেষভাগের অন্যতম হিট সিনেমা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে এই সিনেমাটির।
চলচ্চিত্রে পঞ্চাশ বছরের লম্বা ইনিংসে রাজ্জাক অভিনয় করেছেন তিনশোটির মতো বাংলারও উর্দু ছবিতে। জীবনের শেষভাগে শরীর ভেঙে পড়ায় পর্দায় আর খুব একটা আসেননি রাজ্জাক। কিন্তু দেশের চলচ্চিত্রে তার স্থান নিতে পারেনি কেউই।


সেই সময়ের রোমান্টিক একটি সিনেমা ‘নীল আকাশের নীচে’ আমার বেশ ভাল লেগেছে। নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘নীল আকাশের নীচে’ সিনেমাটিই রাজ্জাককে হিরোর তকমা এনে দেয়। সিনেমাটিতে চমৎকার কিছু গান রয়েছে।

ছুটির ঘণ্টা, সৎভাই, অশিক্ষিত, চন্দ্রনাথ, ভালো লোক ছিল, কি যে করি, জীবন থেকে নেয়া, বাদী থেকে বেগম, ময়নামতি, বাবা কেন চাকর


ছুটির ঘণ্টা : আজিজুর রহমান পরিচালিত সত্য ঘটনা অবলম্বনে আলোচিত ছবি। ১৯৮০ সালে নির্মিত। স্কুল ছুটির পরে স্কুলছাত্রের বাথরুমে আটকে পড়ার পর বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা নিয়ে নির্মিত মর্মান্তিক গল্পের ছবি। ছবিতে রাজ্জাক ছিলেন স্কুলের দপ্তরি। তাঁর ভুলেই স্কুলছাত্র আটকে পড়ে। ছুটি শেষে সেই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে বাথরুমের দেয়ালে মর্মস্পর্শী সব কথা লিখে যায় সেই ছাত্র। সেগুলো দেখে রাজ্জাক স্বাভাবিকতা হারিয়ে হাসতে হাসতে পরে পাগল হয়ে যায়। রাজ্জাকের অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা ছবি।


নায়ক রাজ রাজ্জাক অভিনীত নীল আকাশের নীচে, অবুঝ মন, ময়না মতি, অশিক্ষিত, কাঁচ কাটা হিরে, পীচ ঢালা পথ, কুচ বরন কন্যা, ওরা ১১ জন, ্নাচের পুতুল, যে আগুনে পুড়ি, আগুন নিয়ে খেলা, অশিক্ষিত, বদনাম, ছুটির ঘন্টা, স্বরলীপি, চন্দ্রানাথ, নাচের পুতুল অশ্রু দিয়ে লেখা, আরাও মানুষ, কি যে করি, জিঞ্জির, পুত্র বধু, অনন্ত প্রেম, সাধু শয়তান প্রভৃতি সিনেমাগুলো আমার খুব পছন্দ।
আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কাম্না করছি।


সৎভাই : রাজ্জাক পরিচালিত ও অভিনীত ১৯৮৫ সালে নির্মিত অসাধারণ ছবি। এ ছবি থেকে পরবর্তীকালে ১৯৯৯ সালে ‘সন্তান যখন শত্রু’ ছবিটি রিমেক করা হয়। সে ছবিতে রাজ্জাকের ভূমিকায় ছিল তাঁর ছেলে নায়ক বাপ্পারাজ। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাইয়ের সাংসারিক দ্বন্দ্ব এবং সম্পত্তিবিষয়ক জটিলতা নিয়ে মর্মস্পর্শী গল্পের ছবি।
জীবন থেকে নেয়া : ১৯৭০ সালে জহির রায়হান নির্মিত রাজনৈতিক ছবি। রাজ্জাক ছিল তৎকালীন পরাধীন দেশের সচেতন পুরুষ। পরিবারে বোন রওশন জামিলের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে মানসিক প্রতিবাদ জানায় বিভিন্নভাবে। রাজ্জাক প্রেম ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উদীয়মান চরিত্রে অভিনয় করেন। একদিকে জাতীয় সংগীতে যেমন শামিল হন, সুচন্দার সঙ্গে প্রেম এবং পরিবারে চাবির গোছা ধারণ করা বোনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ইমেজে বহুমুখী হয়ে ওঠেন।

ছুটি

বাবা কেন চাকর,বাবার আসন

সামির মোতো সামি

অশ্রু দিয়ে লেখা
