

এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী ও এর দুই পাড়ের জেলেদের জীবন নিয়ে চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে। নারীর মাতৃত্ব ও ডিম্ববতী মাছই ‘হালদা’ চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য বিষয়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় পুরো গল্পটাই ভয়ংকর হৃদয়স্পর্শী (টাচি)। অনেক স্পর্শকাতর বিষয় আছে। যেগুলো দর্শকের মনে দাগ কাটবে। হালদা’র বিশেষত্ব হচ্ছে এটি চট্টগ্রামের বিখ্যাত নদীর নামে। এর ভাষা চট্টগ্রামের, লোকেশন চট্টগ্রামের, সাংস্কৃতিক উপকরণ চট্টগ্রামের। এখানে চিত্রিত হয়েছে হালদাপারের লোকজীবন ও সংস্কৃতি। আছে স্থানীয় উৎসব, বলীখেলা, কবিগান, ব্যাঙের বিয়ে, নৌকাবাইচ, মাইজভাণ্ডারী গান, গ্রামীণ যাত্রা ইত্যাদি।
তৌকির আহমেদ অনিন্দ্য সৃজনশীল নৈপূর্ণের মধ্য দিয়ে বিষয়টিকে আমাদের কাছে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করেছেন।হালদাপারে হাসির ফলগুধারা যেমন দেখানো হয়েছে, তেমনি বেদনাও দেখেছি। দখল, দূষণ, ড্রেজিংয়ের নামে বালু তোলা, নাব্যসংকট, জেলেপল্লির দুরবস্থা, মা-মাছের রক্তে নদীর জল লাল হওয়া, মা-মাছের আনাগোনা কমে যাওয়া, নির্বিচারে মাছশিকারসহ অনেক অনেক বিষয় অনেক মুনশিয়ানার সঙ্গে উঠে এসেছে ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে। কার্পজাতীয় মাছের একমাত্র প্রজনন ক্ষেত্র, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীর সুপেয় পানির আধার হালদা নদী বাঁচাতে মাইলফলক হয়ে থাকবে ‘হালদা’।এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মোশাররফ করিম, ফজলুর রহমান বাবু, রুনা খান প্রমুখ।
জনপ্রিয় অভিনেতা লুৎফুর রহমান জর্জ -এর মতে, "পরিবেশ ও নদী নিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের আন্দোলন দেখেছি, সভা কিংবা সমাবেশ দেখেছি। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তকে পড়েছি নানা গল্প, নানা লেখা-লেখি। কিন্তু চলচ্চিত্রের নিরন্তর দৃশ্যকল্পের মধ্য দিয়ে সেই অন্দোলন-প্রতিবাদের ভাষা এতটা চমৎকার ও নান্দনিক ভাবে উপস্থাপিত হতে পারে সেটা বোধহয় ভাবনায় আসেনি কখনো। " ‘এবারে সিনেমার একটি সংলাপের কথা বলি ‘‘মা মাছ শিকার করা পাপ’’। কেননা ওই একটি মা মাছের ডিমে কোটি টাকার মাছ উৎপাদিত হয়। আর সেই উৎপাদনের সাথে মানুষের জীবন-জীবিকা কতোটা নিবিড়ভাবে জড়িত তা ফুঁটে উঠেছে ছবি’র কুশীলব ফজলুর রহমান বাবু, তিশা ও মোমেনা চৌধুরীর স্বাভাবিক অভিনয় শৈলীতে। পাশাপাশি তাদের বিপরীত সামাজিক প্রেক্ষাপটের নিদারুণ চিত্র ফুঁটে উঠলে জাহিদ হাসান, দিলারা জামান ও রুনা খানের স্বাভাবিক অভিনয় শৈলীতে। বিশেষ করে জাহিদ হাসানের অভিনয়ে তাকে খানিকটা নতুন করে আবিস্কার করা গেল। গল্পের পরতে পরতে অন্যান্য চরিত্র গুলোর অনবদ্য স্বাভাবিক অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে অনায়াসে। আর বেশি বলতে চাই না।' ‘হালদা’র জন্য শুভ কামনা। আমরা সবাই হলে যাবো। সিনেমাটি দেখব। জয় হোক বাংলা চলচ্চিত্রের।’এর চেয়ে বেশি কিছু না জানানোই শ্রেয়। তাহলে তো আপনার মুভিটি দেখার মজাই নষ্ট হয়ে যাবে। এর চেয়ে বরং ছুটির দিনে পরিবারের আপনজনদের নিয়ে দেখে আসুন 'হালদা' চলচ্চিত্রটি। হলফ করে বলতে পারি, তৌকির আহমেদের উপর নিরাশ হবেন না।
(সংকলিত)

এখনো দেখি নি।
তবে মুভিটা ভালই হবে
এই মুভিটি আমাদের বাড়ির পাশেই এক পুরনো বাড়িতে শুটিং হইছে
মোশারফ করিম জাহিদ হাসান তিশা আভিনীত মুভিটা
রাজবাড়ি জেলার পাচুরিয়া ইউনিয়ন এর পেশকার বাড়িতে কিছুদিন শুটিং হয়েছিল আর হালদা নদীর পাড়ে শুটিং হইছিল ছবিটার
