

আমার কাছেও ওরা ১১ জন কাজী জহির রায়হান, ১৯৭১ সনে সিনেমাটি মুক্তি পায় যে সিনেমায় সর্বপ্রথম আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি গানটি গাওয়া হয়-- এবং এই গানটিই পরবর্তীতে জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় ........
হাঙ্গর যদি গ্রেনেড .....
এই সিনেমাটি আমার হৃদয়ে গভীরে ছুঁয়ে গেছে...... সুচরিতা ছিলেন এই সিনেমার নায়িকা! তার ছিল দুই ছেলে ! একজন সৎ ছেলে আর একজন নিজের গর্ভজাত সন্তান,,, সে ছিল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী! আর বড় ছেলে ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমান সাহসী এবং দেশপ্রেমিক! ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে. একদিন গোপনে মায়ের সাথে দেখা করতে আসলে, পাকিস্তানী সৈন্যরা রাজাকের ও আলবদরের মাধ্যমে গোপনে খবরটি পেয়ে যায় যে অমুক মুক্তিযোদ্ধা এখন বাড়িতে আছে! সৈন্যরা বাড়িতে গেলে সৎ মা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন যে তারতো একমাত্র ছেলে সেটা আবার প্রতিবন্ধী! মা চিন্তা করলেন প্রতিবন্ধী ছেলেকে বাঁচিয়ে রেখে কি হবে সে মুক্তিযুদ্ধ করতে পারেনা, পারবেনা বিজয়ের লাল সূর্যটাকে ছিনিয়ে আনতে,, তাই , নিজের গর্ভজাত ছেলেকে ছেলেটাকে ধাক্কা দিয়ে সেনাবাহিনীর সামনে ফেলে দেয় এবং সেনাবাহিনী প্রতিবন্ধহী সেলেটাকে ব্রাশ ফায়ার করে এবং গ্রেনেড দিয়ে মায়ের সামনে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলে ! আর এই সুযোগে মুক্তিযোদ্ধা ছেলে বাড়ির পেছন থেকে পালিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন .... এভাবেই মা তার নিজের ছেলেকে বিসর্জন দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ছেলেকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন ..... তাই এই সিনেমাটির মাধ্যমে মায়ের এই ত্যাগ আমাকে মুগ্ধ করেছে ......................
সুস্থ থেকো ভালো থেকো নিরন্তর,,,,,,,,,, ধন্যবাদ দীপ্তি:)

হাঙ্গর নদী গ্রেনেড...একজন মায়ের তার ছিল দুই ছেলে ! একজন সৎ ছেলে আর একজন নিজের গর্ভজাত সন্তান,,, সে ছিল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী!বড় ছেলে ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমান সাহসী ।তাই সে মুক্তিযুদ্ধে যায় এবং একজন মা তার মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া ছেলের জন্য তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেন।আর এই ছেলেটা আমার বাসার পাশে থাকে এবং সে আমার চাচা হয় তার নাম বিজয় ।সে ছবিতে যেমন মোটা ছিলো এখনো দেখতে সে রকমই ।আমাদের এলাকার একজন আন্যতম ভালো মনুষ
গেরিলা
কারন,এখানে এক বীরনারীকে তুলে ধরা হয়েছে

আমার বন্ধু রাশেদ, ওরা ১১ জন।।
গেরিলা
আমার বন্ধু রাশেদ

আমার মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি ভাল লেগেছে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত “ওরা 11 জন” ছবিটি।
এই ছবিটির মাধ্যমে বাংলার পুরো মুক্তিযুদ্ধ ও তার প্রেক্ষাপট। পাকিস্তানিদের অত্যাচার ও মুক্তিবাহিনীদের দুঃখ দুর্দশা তুলে ধরা হয়েছিল। 2 ঘন্টার এই পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিটি তে পরিচালক সফল ভাবে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী ও অপারেশন খুব নিখুত ভাবে তুলে ধরেন যা একজন দর্শককে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের কিছুটা হলেও স্বাদ ও তৃপ্তি দিতে পারে।

** ওরা ১১ জন **
ও
** হাঙ্গর নদী গ্রেনেড **
হাঙ্গর নদী গ্রেনেড সিনেমাটিতে একজন মা মুক্তি যুদ্ধাকে বাঁচাতে তার নিজের আদরের ছেলেকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেন।
