মাত্র বিশ ত্রিশ বছর আগের কথা, চায়নাতেও বিশ্বায়নের ছোঁয়া লেগেছে কিন্তু অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে বাণিজ্যের মহারথীরা চিন্তায় পড়ে গেছে, 'এখন কি হবে রে চান্দু! পুরো বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে! কেমনে কি!'
.
ওয়ার্ল্ড ট্রেড অগ্রানাইজেশনে (WTO) অংশগ্রহণ নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক,
.
একদল বিশ্বায়নের পক্ষে আরেকদল বিপক্ষে! চলছে টক্ শো!
.
মাত্র ত্রিশ বছর পরের ইতিহাস, আমেরিকার পতাকার নিচের স্ট্যান্টে 'মেইড ইন চায়না' খোদায় করা,
.
জনসংখ্যার দিক দিয়ে কেনো বিশ্বে প্রথম চায়না তার উত্তরে মজা করে বলা হয় তাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীগুলো 'মেইড ইন চায়না'
.
চীন এমন একটি দেশ যে দেশে বিপ্লবের পর এক যুগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ ছিলো কারণ এতো উচ্চশিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্থান কে করবে? তারচেয়ে বরং তাদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়েছিলো!
.
তাই হয়তো আজ আমার জাইঙ্গার লেভেলের পিছনেও 'মেইড ইন চায়না' লেখা,
.
২৬ লক্ষ শিক্ষিত বেকার! বেকারত্বের চিপায় প্রেমিকা হাওয়া হয়ে গেছে!
.
প্রতিনিয়ত চার লক্ষ সোনার ছেলে চারশ পোস্টের জন্য যৌবন জীবন পণ রেখে দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে,
.
ভাবা যায়!!!
.
কথায় আছে,
.
জীবন স্বর্গ- যখন আপনার কাছে জার্মান গাড়ি, আমেরিকান সেলারি, চাইনিজ ফুড আর বাঙ্গালী বউ থাকে,
.
জীবন নরক- যখন আপনার কাছে চাইনিজ গাড়ি, জার্মানির খাবার, আমেরিকান ওয়াইফ আর বাঙ্গালী সেলারি থাকে,
.
চায়না পুরো পৃথিবীর এক বিস্ময়কর জাতীর নাম,
.
৯০ দশকের পর যে জাতী মাত্র কয়েক দশকে পুরো বিশ্ব দখল করে নিয়েছে! কম দামে আপনি যা চাইবেন তারা আপনাকে তা ই বানিয়ে দিবে! তাদের তৈরী জিনিসে আপনি আপনার ব্রান্ড লাগিয়ে দিলেও তার কোন আপত্তি নেই!
.
কি এমন আছে চীনে? সহজ উত্তর, ১৩০ কোটি মানুষের ২৬০ কোটি কর্মদক্ষতাসম্পন্ন হাত এবং কর্মমুখী শিক্ষার সাথে সঠিক পরিকল্পনা,
.
এহেন অবস্থায়,
চীন সফর শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজ দেশে ঢুকছেন এমন সময় তাকে বিমান বন্দরে থামিয়ে দেওয়া হলো! তখন তিনি চটে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের সাহস তো কম না! আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে সার্চ করা শুরু করেছো! তখন পাশ থেকে একজন জবাব দিলো, মাননীয় প্রেসিডেন্ট, পরীক্ষা করে দেখছি চীন থেকে প্রকৃত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রেখে কপি কিংবা ক্লোন ট্রাম্পকে পাঠিয়ে দিয়েছে কি না!
চীন নিয়ে সব মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। চীনাদের জীবনযাপন চলা ফেরা অন্যান্য দেশের চেয়ে একটু অন্যরকম। চীনারা অন্যরকম বলেই সবাই জানতে চায় তাদের সংস্কৃতি নিয়ে। আজ জেনে নিন চীন সম্পর্কে নতুন কিছুঃ
১. সম্প্রতি চীনা কর্তৃপক্ষ অনেক জায়গায় পাহারার জন্য কুকুরের পরিবর্তে রাজ হাঁস নিযুক্ত করেছে। কেননা রাজা হাঁস যাকে তাড়া করে সেই জানে এটার ক্ষিপ্রতা কেমন!
২. প্রতিবছর চীনে এক কোটি ত্রিশ লাখ শিশু গর্ভপাতের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয়।
৩. বেইজিংয়ে ট্রাফিক জ্যামে ক্ষতির পরিমাণ ১১.৩ বিলিয়ন ডলার।
৪. বেইজিংয়ে বাতাস এতটাই দূষিত, যে প্রতিদিন এক প্যাকেট সিগারেটের খেলে যে ক্ষতি হয়, বেইজিংয়ের বাতাসে একদিন শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে সেই পরিমাণ ক্ষতি হয়।
৫. টয়লেট পেপার প্রথম চীনে আবিষ্কৃত হয়েছিল শুধুমাত্র সে দেশের রাজা টয়লেটে ব্যবহার করবেন বলে।
৬. নাবালক ছেলেদের মূত্র দ্বারা সিদ্ধ করা ডিম খাওয়াকে পবিত্র কাজ মনে করা হয়
৭. সামরিক বাহিনীর অফিসারদের কোটে পিন দেয়া থাকে, যাতে তারা দাঁড়ানোর সময় মনোযোগ সহকারে দায়িত্ব পালন করেন। সামান্য হেলে পড়লেই পিন চামড়ায় গেঁথে যাবে!
৮. তারা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের হাঁটার জন্য আলাদা লেন তৈরি করেছে।
৯. তারা এলিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড মুভিটা নিষিদ্ধ করেছিল এই কারণে যে, মুভিতে পশুপাখিরা মানুষের ভাষায় কথা বলতে পারে।
১০.পুলিশদের একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় হাত উঁচিয়ে রাখার ট্রেনিং দেয়া হয়।
তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া
রংধনুর পর্বত! শুনতেই অবাক লাগে! কোনো রুপকথা নয় , চীনের Zhangye Danxia ল্যান্ডফর্ম ভূতাত্ত্বিক পার্কের রেনবো পর্বতমালা বিশ্বের একটি ভূতাত্ত্বিক আশ্চর্য। এই বিখ্যাত চীনা পর্বতমালা পারলৌকিক রং দ্বারা তৈরি ঘূর্ণায়মান পাহাড়ের উপর আঁকা রামধনুর জন্য জন্য পরিচিত।
এটি সম্ভবত প্রথম উদাহরণ যেখানে ভূতত্ত্ব আমাদের মনোযোগ কেড়ে নিতে বাধ্য এনং প্রশ্ন আসে রেনবো পর্বতমালা কি উপায়ে রঙ্গিন হয়? এখানে আমি diagenetic এবং mineralogical প্রসেস নিয়ে কিছু বলব যার মাধ্যমে এই পাহাড় লাল, সবুজ , হলুদ এবং নীল রঙে পরিণত হয়.
Zhangye Danxia ন্যাশনাল পার্ক ২০০ বর্গমাইল নিয়ে চীন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গানসু প্রদেশে অবস্থিত। ২০০৯ সালে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান নামে নামকরণ করা হয় এবং অনেক চীনা এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য গন্তব্যে পরিণত হয়.
নিশচয় ভাবছেন, রেনবো পর্বতমালা কিভাবে ফর্ম হয়?
*বেশটেক* *বেশম্ভব** *
রেনবো পর্বতমালা ক্রিটেসিয়াস বেলেপাথর ও siltstones নামের পাথর দ্বারা গঠিত হয় যেটি হিমালয় পর্বতমালার গঠনেরও আগের কথা। যে রং আমরা আজ দেখতে পাই, তা বালি, পলি লোহা এবং ট্রেস খনিজ গঠনের মূল উপাদানের সন্নিবেশের জন্যই তৈরি। প্রায় ৫৫ মিলিয়ন বছর আগে ভারতীয় প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে দ্বন্ধের কারণে একটি স্তরপূর্ণ অনুভূমিক এবং ফ্ল্যাট স্তরবিন্যাস ব্যাহত হয়েছিল। অনেকটা দুটি গাড়ি একটি রেকে উঠিয়ে নিলে যা হয়, গাড়ি দুটা একই রেকে নিজেদের মধ্যে দ্বন্ধে লিপ্ত হবে এবং তাদের ফ্ল্যাট অংশ ভাঙতে থাকবে, একই প্রক্রিয়ায় রেনবো পর্বতমালার ফ্ল্যাট বেলেপাথরে হয়েছিল। এই প্রক্রিয়া পাললিক শিলার যে অংশ মাটির নিচে লুকিয়ে ছিল তা উদ্ভাসিত করে পর্বতের ওপর অবস্থান নেয়। ওয়েদারিং এবং ক্ষয় মহাদেশীয় siliciclastic শিলার উপরিতলের স্তর মুছে ফেলে বিভিন্ন ধাতুবিদ্যা এবং রসায়নের সঙ্গে অন্তর্নিহিত গঠনে উদ্ভাসিত হয়।
এই রেনবো পর্বতমালা জুড়ে থাকা রং গুলো আকর্ষণীয় প্রকরণ ঘটায়। কিভাবে রেনবো পর্বতমালা গঠিত হয় তার একটি ধারণা পেলেন। এবার আমরা কিভাবে এই রঙ দেখতে পাই একটু আলোচনা করা যাক। ত্বরান্বিত ভূগর্ভস্থ বেলেপাথর শস্য মাধ্যমে চলে আসে এবং শস্য মধ্যবর্তী খনিজ ট্রেসে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়া বিশ্বজুড়ে বেলেপাথর এর পারলৌকিক রং জন্য অনুমতি দেয়!
এই পর্বতের বেলেপাথরের প্রাথমিক রঙ গভীর লাল। লাল রঙের বেলেপাথরের মধ্যে, একটি আয়রন অক্সাইড লেপ সংযোজন আছে, যা মূল্যবান্ আকরিক লৌহবিশেষ (Fe2O3) নামেও পরিচিত এ কারণে.
ওয়েদারিং, পানি ও অক্সিজেনের সঙ্গে মিশ্র আয়রন অক্সাইড মৌল লোহা তৈরি করে, যা তার গাঢ় লাল রঙের জন্য উল্লেখযোগ্য। রেনবো পর্বতমালা মূলত তার বেলেপাথর Danxia গঠনের এই আয়রন অক্সাইড এর কারণে চিহ্নিত করা যায়।
মাঝে মাঝে আয়রন অক্সাইড অধিকাংশই একটি গাঢ় লাল রঙ্গক জ্ঞাপন, তবে সেখানে অক্সাইড বিভিন্ন রং গঠন করে। উদাহরণস্বরূপ, জারিত limonite বা goethite বেলেপাথর এ বাদামী বা হলুদ পুনরায় উত্পাদন হবে, এমনকি ম্যাগনেটাইট কালো বেলেপাথর পুনরায় গঠন করতে পারে, যদি সেখানে লোহার সালফাইড থাকে। আবার, সালফার দ্বারাএকটি ধাতব হলুদ রঙ তৈরি হয়ে থাকে। এদিকে, সবুজ রং তৈরি হয়য় ক্লোরাইট বা লোহা সিলিকেট এঁটেল কারণে। এগুলো মাত্র কিভাবে বেলেপাথর diagenesis এর সময় রং পরিবর্তন করা যেতে পারে কিছু উদাহরণ! আরো অনেক উপাদানের দরুনও এখানে অনেক রঙ উৎপাদন হয়ে থাকে!
ভাগ্যক্রমে ঠিক এই একই প্রক্রিয়া দেখতে, আপনাকে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে চীন ভ্রমণ করতে হবে না। এডভ্যাঞ্চারে যান এবং সর্বাঙ্গে একটি লাল রং আছে এমন শিলা চেনার চেষ্টা করুন! হয়ত আপনি একটি আয়রন অক্সাইড দাগী বেলেপাথর চিহ্নিত করে ফেলতেও পারেন!. পেলে জানাবেন কিন্তু!
রংধনুর পাহাড়ের গল্প এখানেই শেষ করছি!
তথ্য সূত্রঃ ফোর্বস ম্যাগাজিন
ছবিঃ গুগল থেকে নেওয়া
*বেশম্ভব * *রংধনু* *পর্বত* *চীন* *প্রকৃতি* *পরিবেশ*
চীনের বাজারে এখন অ্যাপল কিংবা স্যামসাং শাওমির সাথে পেরে উঠছে না।শাওমির নতুন স্মার্টফোন বের হওয়ার সাথে সাথেই স্টক শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস টেকনোলজি জানিয়েছে, গত বছর শাওমি ৭০ মিলিয়ন ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করে। যদিও গত বছর শাওমির লক্ষ্য ছিল ৮০ মিলিয়ন ডিভাইস বিক্রি করার।
চলতি বছরের শুরুতেই শাওমি এমআই৫, রেডমি ৩, রেডমি ৩ প্রো স্মার্টফোন এনে বাজার মাতিয়ে রেখেছে। তবে বাজারের এখনো তিনটি প্রান্তিক বাকি আছে।পরবর্তীতে বাজার ধরে রাখার জন্য ৬.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের ট্যাবলেট ‘ম্যাক্স’ আনতে যাচ্ছে শাওমি । বড় ডিসপ্লের এই ফোনটি বছরের শেষে বা মাঝামাঝি সময়ে বাজারে আসতে পারে।
স্মার্টফোনের বাজারে বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি এক কোটি ৪৮ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে। তাদের বিক্রি দিনে দিনে আরও বাড়ছে।
আশ্চর্য সুন্দর ঝর্নাধারার দেখা মেলে চীনের বাওফেং লেকে
এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসছে চীন (খুকখুকহাসি)
চীনে শক্তিশালী টাইফুন চ্যান-হোমের আঘাত
চীনের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে এশীয় ব্যাংকের যাত্রা
কাচের ব্রিজ বানিয়ে দুনিয়া চমকে দিল চীন
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।