*কাল্পনিকঃ*
"একদা এক মহান বিজ্ঞানী গবেষণা করিবার উপযুক্ত বিষয় খুঁজিয়া না পাইয়া তেলাপোকার উপর গবেষণা শুরু করিলেন। একখানা *তেলাপোকা* ধরিয়া আনিয়া তিনি উহার একখানা পা কাটিয়া ফেলিলেন। এরপর তালি বাজাইয়া তাহাকে হাঁটিয়া দেখাইবার নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তেলাপোকা কষ্ট করিয়া হাঁটিতে লাগিল।
অতঃপর বিজ্ঞানী তেলাপোকা আরেকখানা পা কাটিয়া লইলেন। তেলাপোকাটি তবুও আরো খানিক কষ্ট করিয়া হইলেও হাঁটিয়া দেখাইল। এমনই ভাবে করিয়া জনাব বিজ্ঞানী তেলাপোকার সকল পা কাটিয়া লইলেন।
এইবার তেলাপোকার যে আর হাঁটিবার ক্ষমতাটি নাই! পা নাই, হাঁটিবে কি করিয়া!? তাই হাঁটিবার নির্দেশ পাওয়া সত্ত্বেও তেলাপোকা আর হাঁটিতে পারিল না।
এই না দেখিয়া মহান বিজ্ঞানী সফলতা লাভের খুশীতে ঘোষণা দিয়া দিলেন যে,
তেলাপোকার সকল পা তাহার দেহ হইতে ছিন্ন করিইয়া লইলে তেলাপোকারা কানে শুনিতে অপারগ হয়!"
*বাস্তবতাঃ*
আমি তেলাপোকা, আপনি তেলাপোকা। আর আপনার আমার উপরে অনেক বিজ্ঞ বিজ্ঞ বিজ্ঞানী নিয়মিত গবেষণা করিয়া যাইতেছেন। কোন বিজ্ঞানী পেট্রোল মারিয়া, কোন বিজ্ঞানী আবার এক-টাকা, দুই-টাকার সেন্টিমেন্ট লইয়া গবেষণা করিয়া যাইতেছে।
আগে জানিতাম মানুষ মরিলে ইন্নালিল্লাহ্। আর এখন মরিলে, সে যে তেলাপোকাই হোক, তাহাকে একখানা দলীয় *ছাপ্পা* মারিয়া যেকোনো দলের গৃহপালিত তেলাপোকা বানাইয়া দেয়া হয়। এই লইয়া বিজ্ঞানী দলের মাঝে কিঞ্চিৎ মনোমালিন্য হইয়া থাকে!
হইতেই পারে। গবেষণার পেটেন্ট সকলেই করিতে চায়। সমস্যা থাকিয়া যায় কেবল তেলাপোকা গোষ্ঠীর। তাহারা যে কেবলই গবেষণার বিষয় বস্তু।
অতিকায় বিজ্ঞানীরা একদা লোপ পাইবে হয়তো, তবু তেলাপোকারা আজীবন গবেষণার বিষয়বস্তু হইয়াই কাটাইয়া দিবে।
জয় বাংলা, *বাংলাদেশ*জিন্দাবাদ, তেলাপোকারা মুক্তিপাক