ফলের তাজা রস দ্রুত ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে দেহে শক্তি বাড়ায়। তাই রমজানে যেকোনো প্রকার রস গ্রহণ আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আমরা সচরাচর যে ফলের রসগুলো খাই, সেগুলোর উপকারিতা সম্পর্কে খানিকটা আলোচনা করছি :
তরমুজের রস : দেহে পানির ঘাটতি পূরণ করার মাত্রা ৯২ ভাগ। এর মূল উপাদান পানি ও চিনি। এ ছাড়া আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম। এরা একযোগে দেহে পানিশূন্যতা রোধে কাজ করে।
কমলার রস : দেহে পানির ঘাটতি পূরণের মাত্রা ৮৭ ভাগ। এটি স্বাদে মিষ্টি এবং দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের ক্ষমতা শতভাগের চেয়েও বেশি।
জামের রস : এটি ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। জামের রস আমাদের ধমনীগাত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক করে।
আঙুরের রস : এতে বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার রিজভেরাট্রল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখে।
জাম্বুরার রস : ৯০ ভাগ পানিশূন্যতা রোধ করে। এর লিমোনোইড্স নামক উপাদান দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলো দূর করে ক্যানসারের টিউমারকে প্রতিরোধ করে।
ডাবের পানি : পানিশূন্যতা রোধের মাত্রা ৯৫ ভাগ। এতে নিম্ন মাত্রায় সোডিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এই রস আমাদের দেহে সতেজ অনুভূতির সৃষ্টি করে।
আমের রস : এই রস ভিটামিন এ, বি৬ ও সি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। এ ছাড়া এই রস থেকে খাদ্য আঁশও পাওয়া যায়।
আনারসের জুস: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত।
আপেলের জুস: রক্তের চর্বির (কোলেস্টেরল) মাত্রা কমায় আপেল জুস। নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা। আপেল জুস লিভার ও কিডনি থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য দূর করে লিভার ও কিডনিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।
রমজানে আমাদের দেহে পানিশূন্যতা সৃষ্টির যে আশঙ্কা থাকে, তা প্রতিরোধে ফল ও সবজির রসের জুড়ি নেই। তাই সুস্থ শরীরে রোজা পালনের জন্য প্রতিদিনের সেহরি ও ইফতারের খাদ্যতালিকায় কমপক্ষে একটি ফলের রস খাওয়া উচিত।
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।