অন্তঃসত্তা হওয়ার আগে মায়ের রক্তচাপই নির্ধারণ করে দেবে শিশুর লিঙ্গ। টরোন্টর মাউন্ট সিয়ানি হাঁসপাতালের গবেষকরা এমনই মনে করছেন। রক্তচাপের মাত্রার উপরই নির্ভর করবে পুত্র সন্তান হবে নাকি কন্যা সন্তান হবে। অন্তঃসত্তা হওয়ার আগে মায়ের রক্তচ্চাপ মাত্রা যদি কম হয় তাহলে, কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। উল্টোদিকে যদি রক্তচ্চাপ মাত্রা বেশী থাকে তাহলে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ হাইপারটেনশনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। শিশুর লিঙ্গের সঙ্গে যে মায়ের রক্তচাপের কোনও সম্পর্ক আছে তা জানা ছিল না বলে জানান গবেষকরা। চিনের যেসমস্ত মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন, তাঁদের উপরই পরীক্ষা চালান এই গবেষকরা। মহিলার বয়স, তিনি ধূমপান করেন কি না, তাঁদের ওজন, মদ্যপান করেন কিনা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। ফলাফল স্বরূপ দেখা যায় যে, ১৪১১ জন মহিলাদের মধ্যে ৬৭২ জন মহিলা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং ৭৩৯ জন মহিলা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কন্যা সন্তানের মায়েদের রক্তচাপ নীচের দিকে ছিল বলেই দেখা যায়। উল্টোদিকে পুত্র সন্তানের মায়েদের রক্তচাপ গড়ে ২.৬% বেশী ছিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে।
সোর্স: ইন্টারনেট
হৃৎপিণ্ডের অবিরাম সংকোচন-প্রসারণজনিত রক্তের প্রবাহ রক্তনালীর দেয়ালে যে চাপ প্রয়োগ করে তাই হল রক্তচাপ। শরীরের অবস্থাভেদে রক্তচাপের তারতম্য হতে পারে। যেমন দৌড়ালে, ভয় পেলে কিংবা মানসিক আঘাত পেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। অপরদিকে অতিরিক্ত ঘুম ও লবণের ঘাটতি রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়ে গেলে তাকে হেমোরেজিক স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ততা দেখা দিতে পারে। এমন রোগীদের জন্য চিকিৎসা হিসেবে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ থেরাপি, ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি ইত্যাদি দেওয়া হয়।
রক্তচাপের ধরন ও পরিমাপ:
দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগনের ২০ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। রক্তচাপ পরিমাপের মাত্রা দুটি, সিস্টোলিক রক্তচাপ ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ।
১৯৯৯ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ি মানুষের রক্তচাপের ধরন নিম্নরূপ-
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।