শীতের আগমনী বার্তা এখন প্রকৃতি জুড়ে। শীতের সবজিও উঠতে শুরু করেছে বাজারে। শীতের সবজি আর পিঠা—এ দুটোই শীতের মজার খাবার। পুরো শীতকালে সবজির বাজার নানা রকম সবজিতে থাকে ঠাসা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, ব্রোকলি, গাজর, শালগম, টমেটো, শিম, চিনা বাঁধাকপি, লাল বাঁধাকপি, ফ্রেঞ্চবিন—কত-না সবজি! এর সঙ্গে রয়েছে শীতের মজাদার পালংশাক। এসব শাকসবজি খেয়ে পুরো শীতকাল চনমনে হয়ে উঠতে পারেন, বাড়াতে পারেন দেহের পুষ্টি। যদিও শীতের বেশ কিছু সবজি এখন অন্য সময়েও পাওয়া যায়, তবু শীতকালে শীতের সবজির মজাই যেন আলাদা। শীতের শিশিরে সবজি থাকে টাটকা। শাকসবজি যত টাটকা খেতে পারবেন, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি ঠিক থাকবে। বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন শীতকালিন সবজি।
আজকে আপনাদের জন্য থাকছে প্রেসার কুকারে শীতের সবজি রান্নার ঝটপট কিছু রেসিপি :
এই হিম হিম আবহাওয়ায় গরম স্যুপ হতে পারে উপাদেয় খাবার। বাঁধাকপি ও বিভিন্ন সবজি দিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার স্যুপ।
বাঁধাকপির স্যুপ রেসিপি
উপকরণ :
মুরগির বুকের মাংস - ১ কাপ
বাঁধাকপি কুচি- ২ কাপ
টমেটো কুচি- ১ কাপ
ধনেপাতা কুচি- ২ চা চামচ
গাজর কুচি- ২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ২ কাপ
বরবরি কুচি- ১ কাপ
মরিচ গুঁড়া- স্বাদ মতো
গোলমরিচের গুঁড়া- সামান্য
মসলা- যেকোনও একটি স্বাদ মতো
কর্ন ফ্লাওয়ার- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
মুরগি ও সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন প্রেসার কুকারে। কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে আরও ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। মরিচ গুঁড়া ও মসলা দিন। গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন বাঁধাকপির স্যুপ।
সুস্বাদু সবজি সালাদ
উপকরণ : মুরগির বুকের মাংস, গাজর কুচি আধা কাপ, শসা কুচি আধা কাপ, বাঁধাকপি কুচি আধা কাপ, পেঁপে কুচি আধা কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, সেদ্ধ ডিম কুচি ১টি, ভাজা বাদাম ১০-১২টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল-চামচ, (সিরকায় ভিজিয়ে রাখা) কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, ধনেপাতা কুচি ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, সালাদ ড্রেসিং ৪ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি :
মাংস লবণ-পানিতে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে পাতলা পাতলা করে কেটে ওপরের সব উপকরণ দিয়ে একসঙ্গে মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায় মজাদার সবজি সালাদ।
শীতের সবজি বিরিয়ানি
বিরিয়ানি নামটা শুনলে মাংস আর তেল, মশলা দেওয়া খাবারের কথা মনে পড়ে যায়। তেল মশলা কম দিয়েও বিরিয়ানি রান্না করা সম্ভব। নানারকম সবজি দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি। প্রেসার কুকারে শীতের সবজি দিয়ে তৈরি করে নিন মজাদার সবজি বিরিয়ানি।
উপকরণ:
প্রণালী:
• পোলাও চাল ভালো করে ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর পানি ফেলে দিন।
• প্রেসার কুকারে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে এতে তেজপাতা, এলাচ, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জিরা দিয়ে দিন।
• কিছুক্ষণ নাড়ুন তারপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।
• পেঁয়াজ বাদামী রং হয়ে আসলে এতে আদার পেস্ট, রসুনের পেস্ট, পুদিনা পাতা এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
• এরপর এতে আলু, গাজর, ফুলকুপি, বিনস দিয়ে দিন।
• সবজি রান্না হলে এতে লবণ, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা এবং টকদই দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।
• এবার এতে চাল দিয়ে মশলার সাথে ৫ মিনিট নাড়ুন।
• এতে পৌনে দুই কাপ পানি দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে দিন।
• প্রেশার কুকারে হুইসেল দিলে চুলা বন্ধ করে দিন।
• ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সবজি বিরিয়ানি।
প্রেসার কুকার কোথায় পাবেন : প্রেসার কুকারে রান্না করলে অনেকটা সময় সাশ্রয় হয়। ছোট বড় কয়েকটি প্রেসার কুকার কিনতে পারেন। এগুলোর দাম পরবে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। বাজারে এক থেকে ছয় লিটার ধারণক্ষমতার প্রেসার কুকার রয়েছে। দেশে তৈরি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড বাজারে পাবেন নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা সহ আপনার এলাকার যেকোনো ক্রোকারিজের দোকানেও। আর অনলাইনে কিনতে চাইলে আজকের ডিল থেকে নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন। ওখানে দেশি-বিদেশী নানা ব্র্যান্ডের প্রায় ১০০ টি প্রেসার কুকার রয়েছে। কিনতে চাইলে এখানে ও ছবিতে ক্লিক করুন।
দ্রুত রান্নার জন্য আরও একটি যন্ত্র বেশ জনপ্রিয়, যার নাম প্রেসার কুকার। তাপ ও চাপে দ্রুত রান্নার জন্য প্রেসার কুকারের জুড়ি নেই। আজকাল শহরের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই প্রেসার কুকারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সিদ্ধ হতে দেরি হয় এমন খাবার যেমন খাসি বা গরুর মাংস, বুটের ডাল ইত্যাদি রান্না করার জন্য সাধারণত যে সময় দরকার হয়, প্রেসার কুকারে তার প্রায় অর্ধেক সময় লাগে। তাড়াতাড়ি রান্না হয় বলে জ্বালানি খরচ কম হয়।
♦ ভাত: প্রথমেই আসি ভেতো বাঙালীর ভাতের কথায়। ভাত ফুটাতে এমনিতে যতটা সময় লাগে তার তিন ভাগের এক ভাগ সময় নিয়ে ফুটাতে পারেন যদি প্রেসার কুকার ব্যবহার করেন। শুধু চাল আর পানির পরিমাণটা ঠিক থাকলেই হল। সাধারণভাবে যেটুকু চাল তার দ্বিগুণ পানি নিলেই হবে। প্রেসার কুকারে তিনবার লম্বা সিটি বাজলেই ভাত সিদ্ধ হয়ে যাবে। এতে সময় নিবে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। যদি কারও কুকারে লম্বা সিটি না বাজে, ছোট ছোট সিটি বাজে, তাহলে তিনবারের বদলে ছয়বার সিটি গুণতে হবে। আর চুলা বন্ধ করার আরও ১৫-২০ মিনিট পর কুকারের ঢাকনি খুলতে হবে। তাহলে ভাত মোটামুটি ঝরঝরে হয়ে যাবে। এর আগে ভাপ বের করে খুলে ফেললে ভাত আঠালো থাকে। আর কেউ যদি ইলেকট্রিক রাইস কুকারে ভাত ফুটান, তাহলে তো ভাতের পিছনে কোন গ্যাসই খরচ হবে না।
♦ ডাল: ভাতের পরই চলে আসে ডালের কথা। মসুরের ডাল সিদ্ধ হতে যে সময় লাগে একেও তিন ভাগের এক ভাগে কমিয়ে আনতে পারেন। শুধু একটা ছোট কাজ করতে হবে। ডাল সিদ্ধ বসানোর চার ঘন্টা আগে ডাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আমি যেটা করি, অফিসে যাওয়ার আগে ডাল ভিজিয়ে রেখে যাই, দুপুরে অফিস থেকে এসে রান্না করি। দশ মিনিটের মধ্যে ডাল সিদ্ধ হয়ে যায়। এরপর পেঁয়াজ-মরিচ-রসুন তেলে ভেজে বাগার দিয়ে দিলেই হল। পনের মিনিটে ডাল রান্না শেষ। মনে করে ডাল সিদ্ধ করার সময় পানি কমিয়ে দিতে হবে। নয়তো পানি শুকাতেই সময় লেগে যাবে। চার ঘন্টা ভিজানোর সময় না থাকলে প্রেসার কুকারেও ডাল সিদ্ধ করা যায়, তবে ওতে কেন যেন ডালের স্বাদটা ঠিক আসে না। এভাবে হালিমও বানাতে পারেন।
♦ গরু/খাসীর মাংস: গরু/খাসীর মাংসের জন্যও সেই প্রেসার কুকারই ভরসা। তবে দুইভাবে রান্না করা যায়। একটা হল মাংস আগে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে চর্বির পানিটুকু ফেলে দিয়ে এরপর মশলা কষিয়ে রান্না করা যায়। অথবা আগেই মশলা দিয়ে কষিয়ে নিয়ে এরপর পানি দিয়ে প্রেসার কুকারে বসিয়ে দেয়া যায়। প্রথমটায় তেল-চর্বি কম থাকে, দ্বিতীয় পদ্ধতিতে কষানোটা ভালো হয়। আমি আগে প্রথম পদ্ধতিতে করতাম, এখন দ্বিতীয় পদ্ধতিতে মাংস রান্না করি। প্রেসার কুকারে মাংস ভালো মত সিদ্ধ হতে কমপক্ষে বারোটা লম্বা সিটি বাজতে হবে। কেউ কেউ মুরগীর মাংসও প্রেসার কুকারে করে। তবে মুরগীর মাংস কষতেই সেদ্ধ হয়ে যায় তাই প্রেসার কুকারে দেবার প্রয়োজন পরে না।
♦ শাক-সবজী: এগুলো প্রেসার কুকারে ঠিক সুবিধা হয় না। তাই কড়াইতেই রান্না করি। তবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করি, এতে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। শুধু আলুভর্তার জন্য আলু সিদ্ধ করতে প্রেসার কুকার খুব কাজে লাগে। দুইটা লম্বা সিটিই আলু সুন্দরমত সিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট।
♦ পোলাও/খিচুড়ি: প্রেসার কুকারে সাদা পোলাও করা যায়। এক্ষেত্রে চালের পরিমাণ যতটুকু, পানিও ঠিক ততটুকু নিতে হবে। আর খিচুড়ি যদি পোলাও-এর চাল দিয়ে করতে চান, তাহলে চাল-ডালের সমপরিমাণ থেকে একটু কম পানি দিতে হবে। ভাতের চাল দিয়ে খিচুড়ি করলে ডালের সমপরিমাণ পানি, আর চালের দ্বিগুণ পরিমাণ পানি যোগ করে দিলেই হবে। সবজি-খিচুড়ি করলেও একই নিয়ম, শুধু সবজীর জন্য খুব সামান্য পরিমাণ পানি যোগ করে দিতে হবে।
♦ পুডিং: ১/২ লিটার দুধ নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন, খেয়াল রাখবেন দুধে যাতে স্বর বসে না যায়। তাই ঘন ঘন নাড়তে হবে। দুধ কমে যখন প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। অন্য পাত্রে ৫ টা ডিম ভাল করে ফেটে নিন, এইবার এর সাথে চিনি মেশান। সবটা চিনি গলে যাবে না, তবুও যতটা সম্ভব ভাল করে মেশান। মিশ্রণটি জ্বাল দেয়া ঠান্ডা দুধে দিন, ১ চা চামচ ঘি দিন। ভাল করে ফেটে নিন, ভাল করে। এইবার পছন্দসই একটি পাত্র (প্রেসার কুকার উপযোগী) চুলায় চাপিয়ে তাতে সামান্য চিনি দিয়ে একটু লালচে (পুড়ে) করে নিন, পুডিং যখন উপুড় করে পরিবেশন করবেন তখন দেখতে ভাল দেখাবে। প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে এর মধ্যে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে তার উপর পুডিং এর মিশ্রণ সহ ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি দিন। ৩/৪ সিটি পর্যন্ত রান্না হতে দিন। এই সময়ে পাত্রের ঢাকনা তুলে দেখতে পারেন পুডিং জমেছে কিনা। মিনিট বিশেক এর মত লাগবে পুডিং হতে।
কোথায় পাবেন : বাজারে এক থেকে ছয় লিটার ধারণক্ষমতার প্রেসার কুকার রয়েছে। দেশে তৈরি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড বাজারে পাবেন নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা সহ আপনার এলাকার যেকোনো ক্রোকারিজের দোকানেও। আর অনলাইনে কিনতে চাইলে আজকের ডিল থেকে নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন। ওখানে দেশি-বিদেশী নানা ব্র্যান্ডের প্রায় ৭৫ টি প্রেসার কুকার রয়েছে। কিনতে চাইলে এখানে ও ছবিতে ক্লিক করুন।
সামনে ঈদ, নবাবী খাবারগুলোতে বিশেষ করে পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, কাবাবসহ বিভিন্ন ধরণের ভারী খাবারে বেরেস্তার ব্যবহার অপরিহার্য্য, তবে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি খাবারের ড্রেসিংয়ের জন্য তৈরি করা হলেও ভাজার পর অনেকে সময় ব্রেস্টগুলো আর খাস্তা আর ঝরঝরে থাকে না, বরং নেতিয়ে পরে। তবে বেরেস্তা খাস্তা করে রাখার অভিনব উপায় আছে। কিভাবে, চলুন শিখিয়ে দেই।
উপকরণ: দেশি পেঁয়াজ, ছোট আকারের। মনে রাখবেন, মোটা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ দিয়ে কখনো বেরেস্তা হবে না। ভাজার জন্য তেল পরিমাণ মতো এবং কাচের বয়াম। চিনি বা লবণ বা হলুদ কোনো কিছুই দেওয়া যাবে না।
পদ্ধতি: পেঁয়াজ অবশ্যই দেশি এবং ছোট আকারের নিতে হবে। পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ধারালো বটি বা ছুরি দিয়ে খুব মিহি করে কুচি করতে হবে। কুচিগুলো সব কাছাকাছি হতে হবে। কোনোটা মোটা কোনোটা বেশি চিকন করলে অর্ধেক পুড়ে যাবে, বাকি অর্ধেক নরম থাকবে। কুচি করা হলে পেঁয়াজের দ্বিগুণ তেল দিয়ে গরম করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিন। অল্প তেলে ভাজলে অনেক সময় নরম থাকে। মাঝারি আঁচে দুতিন মিনিট ভাজুন। ভাজার শেষের দিকে কম আঁচে ভাজবেন। শেষের দিকে খুব দ্রুত রং হতে থাকে।
পুরাপুরি বাদামি রং হওয়ার আগেই চুলা থেকে নামিয়ে একটি পরিষ্কার কাচের পাত্রে তুলে ফেলুন। বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখলে পুড়ে যাবে এবং তিতা লাগবে। গরম ভাপ চলে গেলে পরিষ্কার কাচের বয়ামে বেরেস্তা ভরে মুখ বন্ধ করে রাখুন।
রান্নায় গোলমরিচ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জেনে নিন কয়েকটি ঝটপট উপায়
পাকা গৃহিণীর হাতেও ভুলবশত তরকারিতে লবণ বেশি পড়তেই পারে, এই অতিরিক্ত লবন পড়ার ঝামেলা প্রায়শই সকলেরই হয়। আর সেই লবণ কমানোর জন্য নানান রকম উপায়ও জানি আমরা। ঝোলের তরকারি বা ডাল থেকে তো লবণ কমালেন, কিন্তু ভাজি, কাবাব, ফ্রাই করা খাবার থেকে কিভাবে কমাবেন লবণ, আছে কি জানা !
জেনে নিন সব রকমের খাবার থেকে লবণ কমানোর দারুণ কিছু কার্যকরী কৌশল:
♦ তরকারী বা ডাল থেকে লবণ কমানোর সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে ময়দা দিয়ে খামির তৈরি করুন। তারপর ছোট ছোট বল আকারে তৈরি করে ঝোল বা ডালের মাঝে ফুটতে দিন। লবণ অনেক পরিমাণে কমে আসবে।
♦ মাছের তরকারী হলে ডালের বড়ি যোগ করুন। তেলের মাঝে বড়ি হালকা ভেজে তরকারিতে দিয়ে দিন। এতে লবণ যেমন কমবে, স্বাদেও আসবে ভিন্ন মাত্রা।
♦ সিদ্ধ করা আলু যোগ করুন তরকারী বা ডালে। লবণ কমা পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। তারপর আলুগুলো তুলে ফেলতে পারেন যদি ইচ্ছা হয়।
♦ সবজিতে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করুন অনেকটা কাঁটা পেঁয়াজ ও ধনেপাতা। টমেটো কুচিও দিতে পারেন। তারপর ভালো করে ভেজে নিন আবার। দেখবেন লবণ হয়ে গিয়ে সহনীয় মাত্রায়।
♦ দোপেয়াজা বা কোন ভুলা খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করুন অল্প টক দই ও চিনি। ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫/২০ মিনিট দমে রাখুন। লবণ তো কমবেই সাথে খাবারের স্বাদ বাড়বে বহুগুণে।
♦ রোস্ট, রেজালা ইত্যাদি খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করুন মালাই। ওই একইভাবে দমে দিয়ে রাখুন। লবণ কমে যাবে।
♦ কাবাব, ভুনা, বা ডাল চচ্চড়ি জাতীয় খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করতে পারেন অল্প লেবুর রস ও সাথে এক চিমটি চিনি। খাবারের লবণকে অনেকটাই কম মনে হবে।
♦ যে কোন তরকারিতেই লবণ বেশি হলে বেরেস্তা যোগ করুন। এতে ঝোল ঘন হবে, স্বাদে যোগ হবে বাড়তি মাত্রা, অন্যদিকে লবণটাও কবে আসবে।
♦ তন্দুরি চিকেনে লবণ বেশি হয়ে গেলে সাথে পরিবেশন করুন একটু বেশি মিষ্টি দেয়া রায়তা।
♦ লবণ কমাতে আরেকটি ভীষণ কাজের উপকরণ হলো দুধ। দুধ যোগ করলে সেটা স্বাদে কোন হেরফের করবে না। কিন্তু আপনার তরকারির লবণ কমিয়ে দেবে একদম।
বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।